সংক্ষিপ্ত
- করোনা ভাইরাস এবার হানা দিতে পারে চোখেও
- চোখের জল থেকেও ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস
- চোখ থেকে সংক্রমণ আটকানোর আরেকটি রাস্তা হল চশমা পড়া
- চোখ থেকেই করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর অন্যতম জায়গা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা
করোনা ভাইরাস নিয়ে ত্রস্ত হয়ে উঠেছে গোটা দেশে। করেনা রুখতে নানা ধরনের নিয়মবিধি মেনে চলার পরেও অজান্তেই শরীরের বাসা বাধছে এই মারণ ভাইরাস। সারা দেশজুড়ে করোনা আতঙ্কে নাজেহাল বিশ্ববাসী। যত দিন যাচ্ছে করোনার নিত্যনতুন উপসর্গ প্রকাশ্যে আসছে। যা নিয়েই সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। গবেষকদের দাবি, করোনা ভাইরাস এবার হানা দিতে পারে চোখেও।
আরও পড়ুন-মাত্র ২৫ সেকেন্ডে পাসওয়ার্ড ছাড়া টাকা তুলতে পারবেন এটিএম থেকে, জানুন কীভাবে...
কোনও কারন ছাড়াই চোখে মুখে হাত দেওয়া, হাত না ধুয়ে চোখে দেওয়া-দীর্ঘদিন ধরেই এগুলো করতে বারণ করেছিলেন গবেষকরা। নয়া সমীক্ষায় দেখা গেছে, চোখের জল থেকেও ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস। যদি কোনও করোনা আক্রান্ত রোগীর চোখের জল কোনও সুস্থ ব্যক্তির শরীরে লেগে যায়, সেখান থেকে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়। চোখ থেকেই করোনা সংক্রমণের অন্যতম পথ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সমীক্ষায় দেখা যায়, বারবার চোখ রগরানো, হাত না ধুয়ে চোখে মুখে হাত দেওয়া, হাঁচি কিংবা কাশি দিয়েই হাত না ধুয়ে চোখে মুখে হাত দিলে সেখান থেকেও ছড়িয়ে পড়তে পারে জীবাণু। তাই বারবার হাত ধোওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। চোখ থেকে সংক্রমণ আটকানোর আরেকটি রাস্তা হল চশমা পড়া। চশমা পড়লে চোখে হাত দেওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম থাকে। যার ফলে সংক্রমণও কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। জ্বর, গলাব্যথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্টই এই মারণ ভাইরাসের উপসর্গ বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, করোনার উপসর্গ বদলে গেছে। এর আগেও জানা গিয়েছিল, ব্যাকটিরিয়ার সংক্রমণে চোখ লালচে হয়ে যাওয়া এই ঘটনা হামেশাই ঘটছে। তবে এই উপসর্গই এখন করোনার নতুন লক্ষণ। তবে শুধুমাত্র চোখ লালচে হওয়া মানেই করোনা হয়েছে তেমনটা ভাবার কিছু নেই। গবেষকদের মতে, জ্বর, গলাব্যথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট হলেও তবেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা রয়েছে। করোনায় আক্রান্ত অনেকের মধ্যেই এই পিঙ্ক আই দেখা গেছে। তবে সকলেরই যে হয়েছে তা নয়। করোনা রোগীর চোখে যদি সংক্রমণ হয়, তাহলে চোখের জলের মধ্যে জীবাণু থাকতে পারে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, কয়েকজনের চোখের জলেই এই জীবানু পাওয়া গেছে। অর্থাৎ ১০০ জনের পিঙ্ক আই হলে তা ১৮ জনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।