সংক্ষিপ্ত
তবে এই ওজন কমানোর জন্য অনেকেই ব্যস্ততার জীবনে নিয়মিত শরীরচর্চা করে থাকেন। মেপে খাওয়া দাওয়াও করেন। কিন্তু, ওজন কমানোর এই দীর্ঘ প্রস্তুতিতে ধৈর্য রাখতে পারেন না অনেকেই। তবে জানেন কি ওজন কমানোর জন্য খুব বেশি কষ্ট করার কোনও প্রয়োজন নেই।
রোগা হতে চান অনেকেই। আসলে স্লিম অ্যান্ড ট্রিম চেহারার অধিকারী হতে সবাই পছন্দ করেন। কিন্তু, তা সবার পক্ষে হওয়া সম্ভব হয় না। এর জন্য অনেকে খাওয়া-দাওয়াও ছেড়ে দেন। কেউ তো আবার সকাল-বিকেল ছোটেন জিমে। আবার অনেকে ডায়েটের তালিকা থেকে বাদ দেন নিজের পছন্দের খাবারও। আসলে অতিরিক্ত ওজন হয়ে গেলে তা কমানোর চেষ্টা কে না করে থাকেন। তবে ওজন কমানো খুব সহজ বিষয় নয়।
তবে এই ওজন কমানোর জন্য অনেকেই ব্যস্ততার জীবনে নিয়মিত শরীরচর্চা করে থাকেন। মেপে খাওয়া দাওয়াও করেন। কিন্তু, ওজন কমানোর এই দীর্ঘ প্রস্তুতিতে ধৈর্য রাখতে পারেন না অনেকেই। তবে জানেন কি ওজন কমানোর জন্য খুব বেশি কষ্ট করার কোনও প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই হুড়মুড়িয়ে কমে যাবে ওজন। এমনকী, শুধুমাত্র জল খেয়েও ওজন কমানো সম্ভব। শুনতে অবাক লাগলেও, এটাই সত্যি। খুব সহজেই জল খেয়েই দেহ থেকে ঝড়িয়ে ফেলা সম্ভব অতিরিক্ত ওজন। জাপানে জল খেয়ে এই রোগা হওয়ার পদ্ধতি বেশ পরিচিত। এই পদ্ধতির নাম 'ওয়াটার থেরাপি'।
তাহলে দেখে নিন শুধুমাত্র জল খেয়ে কীভাবে রোগা হবেন-
- সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে ৪-৫ গ্লাস জল পান করুন। ওই সময় জল খাওয়া শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী।
- দাঁত মাজার পর আরও খানিকটা জল খেয়ে নিন। এতে আপনার খিদেও কম পাবে। তার জন্য প্রায় ৪০ মিনিট একেবারে কিছুই খাবেন না। খালি পেটে থাকুন। সেই সময় ওয়ার্ক আউট করে নিতে পারেন। তারপর সকালের খাবার খান।
- প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। খাবার খাওয়ার সময় একেবারেই জল পান করবেন না। তবে খেতে বসার আগে বেশি করে জল খেয়ে নিন। যাতে আপনার পেট কিছুটা হলেও ভর্তি থাকে। আর খাবার খাওয়া হয়ে গেলে প্রায় ঘণ্টা খানেক পর জল পান করুন।
- দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভুলেও জল খাবেন না। কোনও একটি জায়গায় সুস্থ ভাবে বসে আস্তে আস্তে জল খান। খুব জল চেষ্টা পেয়ে গেলে আমরা অনেক সময় একসঙ্গে ঢকঢক করে জল খেয়ে নিই। এটা করবেন না। অল্প অল্প পরিমাণ জল একাধিকবার খান।
- খাবার পরিমাণ কম করে শরীরের ওজন কমিয়ে রোগা যখন হতে চাইছেন তখন জল খাওয়ার পরিমাণ একটু বাড়িয়ে দিন। প্রয়োজনে ফোনে অ্যালার্ম সেট করে রাখতে পারেন। এতেও আপনার মনে থাকবে যে কখন জল খেতে হবে।
- ওজন কমানোর জন্য সবথেকে নিরাপদ পদ্ধতি হল ওয়াটার থেরাপি। এই থেরাপিতে যেহেতু অনেকটা পরিমাণে জল খাওয়া হয় সেই কারণে শরীরের বিপাকক্রিয়াও বেড়ে যায়। বাড়তি মেদ ও শরীর থেকে খুব সহজেই ঝড়ে যায়। আর বেশি করে জল খেলে শরীর থেকে বর্জ্য বেড়িয়ে যায়। তার ফলে শরীর ও বেশ ঝরঝরে হয়ে যায়। এমনকী, ত্বকও ভালো থাকে।
আরও পড়ুন- সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই ভুলগুলো করবেন না, এগুলোই হয়ে ওঠে সম্পর্ক ভাঙার কারণ
আরও পড়ুন- একঘেঁয়ে চিলি চিকেন কিংবা চিকেন কষা আর নয়, বানিয়ে ফেলুন কাজু চিকেন, রইল রেসিপি
আরও পড়ুন- ভুলেও এই ৫ রকম জল দিয়ে ওষুধ খাবেন না, ডেকে আনতে পারে মহা বিপদ