সংক্ষিপ্ত

ক্যান্সার থাবা বসাচ্ছে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ওপর। স্তন ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সার, প্রোস্টেট লিভার ক্যান্সার, অগ্ন্যাশয় ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সার যেমন আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ, তেমনই বাড়ছে কোলন ক্যান্সারে (Colon Cancer) আক্রান্তের সংখ্যা। ছেলে মেয়ে উভয়েই আক্রান্ত হচ্ছেন কোলন ক্যান্সারে।

প্রতি বছর ৪ ফেব্রুয়ারি দিনটি পালিত হয় বিশ্ব ক্যান্সার দিবস হিসেবে। মারণরোগ ক্যান্সার প্রসঙ্গে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে এই দিনটি পালন করা হয়ে থাকে। দিনে দিনে বেড়ে চলেছে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। ক্যান্সার থাবা বসাচ্ছে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ওপর। স্তন ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সার, প্রোস্টেট লিভার ক্যান্সার, অগ্ন্যাশয় ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সার যেমন আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ, তেমনই বাড়ছে কোলন ক্যান্সারে (Colon Cancer) আক্রান্তের সংখ্যা। ছেলে মেয়ে উভয়েই আক্রান্ত হচ্ছেন কোলন ক্যান্সারে। এই রোগ থেকে বাঁচতে নিয়মিত ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দরকার। এমনই উঠে এল গবেষণায়।  

জানা গিয়েছে, ফাইবার (Fiber) সমৃদ্ধ খাবার মলকে ভারী করে তোলে। অন্ত্র থেকে মল দ্রুত পরিষ্কার করে। ফাইবার শর্ট চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরিতে সাহায্য করে। যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ -এর বিশেষজ্ঞরা একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিকে প্রতিদিন ৪০ গ্রাম ফাইবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ফল, সবুজ সবজি, ওটস, বার্লি, গম, জোয়ার বাজরা, রাগি, ভুট্টা, শিম ও মটরশুটি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় (Diet Chart) এগুলো রাখলে সুস্থ থাকবেন। 

জানা গিয়েছে, আপেল ও কমলালেবুতে ৩ থেকে ৪ গ্রাম ফাইবার (Fiber) থাকে। সঙ্গে থেকে পারেন কলা, ন্যাশপাতির মতো ফাইবার সমৃদ্ধ ফল। আর সবজির মধ্যে খাদ্যতালিকায় রাখুন গাজর, ফুলকপি, পালং শাক, ব্রোকলির মতো ফাইবার সমৃদ্ধ। নিয়মিত এই খাবারগুলো খেলে কোলন ক্যান্সারে ঝোঁক কমবে।  

আরও পড়ুন: Symptoms of Liver Cancer: এই কয়টি লক্ষণ দেখলে সতর্ক হন, হতে পারে লিভার ক্যান্সার

আরও পড়ুন: সরস্বতী পুজোর দিন হলুদ মেখে স্নানের রীতি, জেনে নিন ত্বকের জন্য কতটা কার্যকর হলুদ

ডাঃ শলভ আরোরা জানান, ‘ডায়েটারি ফাইবার পাকস্থলী ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার (Brest Cancer) রোধ করে। উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, হার্টের রোগীদের জন্য ভালো। এটি রক্ত শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে।’ ফলে সব ধরনের রোগীরা রোজ ডায়েটে রাখতে পারেন ফাইবার।  তিনি আরও বলেন, ‘করোনারি হৃরোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রেও ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া দরকার। ফাইবার মলকে নরম করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য ও দীর্ঘস্থায়ী ডায়েরিয়া রোগের ঝুঁকি কমায়।’ এমনকী, পাইলস রোগের সমস্যা সমাধান করতে নিয়মিত ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া দরকার। ফাইবার শরীরে পুষ্টি জোগায়। ফলে, কোলন ক্যান্সার (Colon Cancer) দূর করার সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে চাইলে নিয়মিত ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান।