সংক্ষিপ্ত
- শরীরের অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ, যা শরীরের সব বর্জ্যপদার্থ বের করে শরীরকে সুস্থ রাখে
- এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের মারাত্মক অসুখটির নাম হল লিভার সিরোসিস
- মারাত্মক এই রোগের প্রভাবে পুরোপুরি অকেজো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে লিভারের
- লিভার তার পুরোপুরিভাবে হারিয়ে বসে কর্মক্ষমতা, যার ফলে হতে পারে মৃত্যুও
শরীরের অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ, যা শরীরের সব বর্জ্যপদার্থ বের করে শরীরকে সুস্থ রাখে। আর এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের মারাত্মক অসুখটির নাম হল লিভার সিরোসিস। লিভার সিরোসিস মানুষের যকৃতের দীর্ঘস্থায়ী রোগের ফল যা দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত থেকে সৃষ্টি হতে পারে এবং মারাত্মক পর্যায়ের সিরোসিসে যকৃৎ এর কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে মানুষের মৃত্যু ডেকে আনতে পারে। সিরোসিসের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এতে যকৃতের সুস্থ-সবল কলা ক্ষয়যুক্ত কলা বা নডিউল দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়ে যায় ফলে যকৃত আর কাজ করতে পারে না। সিরোসিসের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে যকৃতের দীর্ঘস্থায়ী রোগ এবং যকৃতে সংক্রমণ ছাড়াও দীর্ঘদিন যাবৎ অতিরিক্ত মদ্যপান, হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, ফ্যাটি লিভার রোগ ইত্যাদি।
আরও পড়ুন- ত্বকের সমস্যা থেকে গার্ডেনিং, সবেতেই ম্যাজিক দেখাবে ভাতের ফ্যান
মারাত্মক এই রোগের প্রভাবে পুরোপুরি অকেজো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে লিভারের। এমনকি লিভার তার পুরোপুরিভাবে হারিয়ে বসে কর্মক্ষমতা, যার ফলে হতে পারে মৃত্যুও। এই মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে সারা বছর প্রায় প্রাণ হারান কয়েক হাজার মানুষ। তবে একটু সচেতন থাকলেই এই মারাত্মক রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। সামান্য সতর্কতাতেই লিভার সিরোসিসের মত মারাত্মক রোগের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। জেনে নেওয়া যাক সেই পদ্ধতি বা নিয়মগুলি।
আরও পড়ুন- প্রয়োজনের বেশি জল খেলে কিডনির বিপদ হতে পারে
এই রোগের আক্রান্ত হলে সব সময় প্রয়োজন সঠিক খাওয়ার অভ্যাসের। যে ধরনের খাবার খুব সহজেই হজম হয়, সেই ধরনের খাবার অভ্যাস তৈরি করা প্রয়োজন। ফ্যাট এবং অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিৎ। মদ্যপানের নেশা থাকলে তা এই মুহূর্ত বন্ধ করুন। তামাক, মদ লিভারের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। চিকিৎসকের কোনও পরামর্শ ছাড়াই কোনও ধরনের ওষুধ খাবেন না। নিজের সিদ্ধান্ত মত ওষুধ খাওয়া এই রোগের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর। নিয়মিত সঠিক পরিমানে জল পান করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রতিদিন নিয়ম করে সঠিক পরিমানে জল পান করা উচিৎ। প্রতিদিন নিয়ম করে যোগাসন বা ব্যায়াম করুন। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে লিভারকে সুস্থ রাখুন। প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট ধরে শরীরচর্চা করুন। এতে শরীরের ইমিউনিটি বৃদ্ধি পায়। একইসঙ্গে লিভারের কার্যক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। প্রসেসড ফুড একেবারেই খাওয়া উচিৎ নয়। সেই সঙ্গে প্রিজারভেটিভ যুক্ত এবং কৃত্রিম স্বাদ ও গন্ধযুক্ত টিনজাত বা বোতলজাত খাবারকে সরাসরি না বলতে হবে। কার এই ধরনের খাবার লিভারের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।