সংক্ষিপ্ত
সারাটা দিন কাটছে ল্যাপটমে মুখ গুঁজে। ৯ ঘন্টার শিফট হলেও কাজ শেষ হতে লেগে যাচ্ছে ১১ থেকে ১২ ঘন্টা। কারও কারও তারও বেশি। ঘুম থেকে উঠে থেকে ঘুমাতে যাওয়া, সারাটা সময় অফিসের চিন্তা। ছুটির দিনেও শান্তি নেই। সেদিন কেউ জমে থাকা কাজ শেষ করছেন তো কেউ বসের মিটিং অ্যাটেন্ড করছেন। এই সময় শুধু মানসিক নয় সঙ্গে শারীরিক সমস্যাও (Physical Problems) দেখা দিচ্ছে অনেকের। জেনে নিন কী কী।
জানুয়ারি পড়তেই শুরু হয়েছে আংশিক লকডাউন। বন্ধ হয়ে গিয়েছে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে অফিস চালানোর নির্দেশ দিয়েছে সরকার। ফলে, ফের শুরু হয়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম। ফলে, সারাটা দিন কাটছে ল্যাপটমে মুখ গুঁজে। ৯ ঘন্টার শিফট হলেও কাজ শেষ হতে লেগে যাচ্ছে ১১ থেকে ১২ ঘন্টা। কারও কারও তারও বেশি। ঘুম থেকে উঠে থেকে ঘুমাতে যাওয়া, সারাটা সময় অফিসের চিন্তা। ছুটির দিনেও শান্তি নেই। সেদিন কেউ জমে থাকা কাজ শেষ করছেন তো কেউ বসের মিটিং অ্যাটেন্ড করছেন। এই সময় শুধু মানসিক নয় সঙ্গে শারীরিক সমস্যাও (Physical Problems) দেখা দিচ্ছে অনেকের। জেনে নিন কী কী।
খাটে বসেই হোক কিংবা চেয়ারে, সারাটা দিন কাটছে বসে বসে। মাঝে শুধু খাওয়ার জন্য যতটা ব্রেক দরকার। টানা ১০-১১ ঘন্টা কিংবা তার বেশি সময় বসে থাকা জন্য বাড়ছে ওজন (Weight)। অফিস থাকলে টি ব্রেক, গসিপ ব্রেক, টিফিস ব্রেক সবই হয়। এক ডেস্ক থেকে অন্য ডেস্ক দিয়ে ফাইল আনা। এমনকী, অফিস যাওয়া-আসার জন্য একটা শারীরিক পরিশ্রম হত। এখন বন্ধ এই সব কিছুই। ফলে একেবারেই শারীরিক পরিশ্রম হচ্ছে না। এর থেকে একদিকে বাড়ছে ওজন। আর অধিক ওজন থেকে ওবেসিটি দেখা দেয়। সুগার, মহিলাদের পিসিওডি তাছাড়া হার্ট, কিডনির মতো রোগ তো আছেই।
সারাদিন এক ভাবে তাকিয়ে আছেন কমপিউটারের দিকে। কাজ শেষ হলে আবার ফোনে মেল চেক করা। এসব থেকে দেখা দিচ্ছে চোখের সমস্যা (Eye Problems)। চোখ ঝাপসা হওয়া, চোখে ব্যথা, দেখতে সমস্যা হওয়ার মতো নানান সমস্যা দেখা দেয়। তাই প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর কয়েক সেকেন্ডের জন্য চোখ পাতা বন্ধ করুন। এতে সুস্থ থাকবেন।
ঘাড় ও ব্যাক পেইনের (Back Pain) কারণ হল দীর্ঘক্ষণ কাজ করা। কাজের চাপে অনেকেই চেয়ার ছেড়ে উঠতে পারে না। এর জন্য দেখা দেয় ঘাড়ে ব্যথা ও ব্যাক পেইনের সমস্যা। এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে চাইলে প্রতি ৩০ মিনিট অন্তর চেয়ার ছেড়ে উঠে হাঁটুন। তাহলে সমস্যা আরও বাড়বে।
আরও পড়ুন: Chewing Gum: কমবে ওজন,চাঙ্গা হবে মন- চুইং গামের রয়েছে হাজার গুণ
আরও পড়ুন: Relationship Tips: অফিসের অশান্তি প্রভাব ফেলছে দাম্পত্য জীবনে, জেনে নিন কী করবেন
ওয়ার্ক ফ্রম হোমের জন্য বহু মানুষ মানসিক চাপে ভুগছেন। কাজের চাপ থেকে আসছে মানসিক চাপ বা স্ট্রেস। এই স্ট্রেস (Stress) চরম থেকে দেখা হাইপার টেনশন, হাই প্রেসারের (High Pressure) মতো সমস্যা। তাই যতই ব্যস্ত থাকুন, সময় বের করে মেডিটেসন করুন। মানসিক চাপ মুক্ত থাকার এটাই সব থেকে ভালো উপায়।