সংক্ষিপ্ত
যারা অধিক মোবাইল ব্যবহার করেন তাদের সকলের মধ্যেই কয়টি রোগ (Illness) দেখা যাচ্ছে। জেনে নিন কোন কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিতে বুঝবেন সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে।
কারণে অকারণে সারাক্ষণ স্ক্রল (Scroll) করে চলেছেন মোবাইল। এই মোবাইলই যেন জীবনের আসল সত্য। শপিং, রেস্তোরাঁ বুকিং, সিনেমার টিকিট, ব্যাঙ্কের কাজ, থেকে ইলেক্ট্রিসিটি বিল দেওয়া- সবের জন্যই ভরসা করতে হয় মোবাইলের ওপর। এছাড়াও, সোশ্যাল মিডিয়াগুলো (Social Medis) তো আছেই। অনেকে তো অফিসের মেল চেক করতে কিংবা ভিডিও কলে মিটিং করতে মোবাইলের (Mobile) ওপরই ভরসা করেন। জানেন কি, এই অধিক ভরসা থেকে দেখা দিচ্ছে নানা রকম রোগ। সম্প্রতি, একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, যারা অধিক মোবাইল ব্যবহার করেন তাদের সকলের মধ্যেই কয়টি রোগ (Illness) দেখা যাচ্ছে। জেনে নিন কোন কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিতে বুঝবেন সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে।
চোখের সমস্যায় (Eye Problems) আজকাল সকলেই ভুগছেন। মাঝে মধ্যেই চোখ দপ দপ করা, ঝাপসা দেখা, শুষ্কতা অনুভব করার মতো সমস্যা অনেকেই হয়েছে। এগুলো মূলত আমরা উপেক্ষা করে যাই। কিন্তু, এর কারণ হল অধিক সেল ফোন ঘাঁটা। ফোনের নীল স্ক্রিন চোখে মারাত্মক ক্ষতি করে। তাই ১৫ থেকে ২০ মিনিট অন্তর চোখকে বিশ্রাম দিন। আর অবশ্যই মোবাইল ব্যবহার কমান।
যদি প্রায়শই কব্জির ব্যথা (Wrist Pain) অনুভব করেন, তাহলে বুঝবেন এক কারণ হতে পারে মোবাইল (Mobile) ব্যবহার। ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারের জন্য কব্জি অসাড়তা ও ব্যথা অনুভব করতে পারেন। তাছাড়া জানেন কি, ত্বকের সমস্যা (Skin Problems) দেখা দিতে পারে অধিক মোবাইল ব্যবহারের জন্য। মোবাইলের নীল রশ্মি থেকে ত্বকে ব্রণ দেখা দিতে পারে। এমনকী, এই রশ্মি থেকে একাধিক জটিল চর্মরোগও হতে পারে। তাই অধিক মোবাইল ব্যবহাররে অভ্যেস ত্যাগ করুন।
আরও পড়ুন: Health Tips: ক্রমে বাড়ছে থাইরয়েড ক্যান্সার, জেনে নিন এই রোগের লক্ষণ কী কী
অনিদ্রার (Sleeping Disorders) সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। এর কারণ হতে পারে অধিক মোবাইল ফোনের ব্যবহার। বিছানায় শুয়ে প্রায় সকলেই ফোন ঘাঁটেন। মাথার কাছে মোবাইল রেখে ঘুমান (Sleep)। এর থেকে দেখা দেয় ঘুমের সমস্যা। ডাক্তারি মতে, ঘুমাতে যাওয়ার আগে মোবাইল ঘাঁটলে ব্রেন সতেজ থাকে। এর জন্য পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। এর থেকে দেখা দিতে পারে একাধিক কঠিন রোগ। তাই ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে মোবাইল রেখে দিন।
অধিক মোবাইল ব্যবহারের জন্য হতে পারে মানসিক চাপ (Stress)। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ইন্টারনেট (Internet) থেকে সারাক্ষণ কোনও না কোনও বিষয় জ্ঞান সংগ্রহ করছেন সকলে। এছাড়া, ফোনের জন্য দেখা দিচ্ছে স্লিপিং ডিসঅর্ডার। অন্যদিকে, বিষণ্ণতা, উদ্বেগের মতো সমস্যাও দেখা দিচ্ছে অধিক মোবাইল ব্যবহারের জন্য।