সংক্ষিপ্ত
ডায়াবেটিস (Diabetes) বর্তমানে মহামারীর আকার নিয়েছে। ভারতে প্রায় ১২.৩ শতাংশ বাচ্চা ডায়াবেটিসে (Diabetes) আক্রান্ত। জেনে নিন এই রোগ থেকে কীভাবে রক্ষা করবেন বাচ্চাকে।
প্রতিদিন বিশ্বে প্রায় দেড় মিলিয়ান রোগীর ডায়াবেটিসের (Diabetes) কারণে মৃত্যু হয়। সম্প্রতি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-র (WHO) রিপোর্ট অনুসারে ডায়াবেটিস (Diabetes) বর্তমানে মহামারীর আকার নিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৪০ মিলিয়ান লোক এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এই তালিকায় শুধু প্রাপ্ত বয়ষ্করা নন, রয়েছে বাচ্চারাও। সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, বাচ্চাদের (kids) মধ্যে বাড়ছে ডায়াবেটিস। ভারতে প্রায় ১২.৩ শতাংশ বাচ্চা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। জেনে নিন এই রোগ থেকে কীভাবে রক্ষা করবেন বাচ্চাকে।
বাচ্চাকে এক্সারসাইজে ভর্তি করুন। পড়াশোনার পাশাপাশি শরীরচর্চা (Exercise) করা খুবই দরকার। সাঁতারে (Swimming) ভর্তি করতে পারেন। তা না হলে, রোজ স্কিপিং ও জগিং করান। পড়ার চাপ যতই থাক, রোজ শরীরচর্চা করা খুবই প্রয়োজন। কারণ, শারীরিক ভাবে সুস্থ না থাকলে অন্য কোনও ক্ষেত্রে সফল হওয়া অসম্ভব। আর গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত শরীরচর্চা করলে বাচ্চার মানসিক বিকাশ ঘটে। তাই তাকে যে কোনও খেলায় যুক্ত করুন।
আরও পড়ুন: Diabetes Tips: মোবাইল না ঘাঁটলে ঘুম আসে না, এই অভ্যেস থেকে বাড়ছে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি
বাচ্চার স্কুলের টিফিন (Tiffin) বলতে পেস্ট্রি, জ্যাম পাউরুটি কিংবা কেক। এছাড়া, রোজ কুকিজ, চিপস খাওয়া তো আছেই। এই অভ্যেস আজই বদলান। এই খাবার মুখরোচক বলে তাকে রোজ রোজ দেবে না। নিত্য দিন প্রক্রিয়াজাত খাবার (Processed Food), ফাস্ট ফুড খাওয়ানোর অভ্যেস বদল করুন। আর একেবারে চিনিযুক্ত পানীয় দেবেন না। এই ধরনের খাবার গুলো রক্তে শর্করার ভাগ বাড়িয়ে দেয়। এর থেকে ডায়াবেটিস (Diabetes) হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
বাচ্চাকে রোজ পুষ্টিকর (Healthy Food) খাবার খাওয়ান। ফাইবার এবং প্রোটিন রাখুন তার খাদ্যতালিকায়। রোজ একটি করে মরশুমি ফল ও সবজি খাওয়ানো খুবই দরকার। এতে বাচ্চার শারীরিক সুস্থতা বজায় থাকবে। তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। সঙ্গে মানসিক বিকাশ ঘটবে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস সকল রোগ দূর করতে সাহায্য করে। তাই বাচ্চার খাদ্যতালিকায় বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। তাকে সুস্থ রাখতে, রোগ মুক্ত রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ান।
ঘন ঘন মূত্রত্যাগ, কেটে গেলে না শুকানো, সারাক্ষণ সর্দি-কাশির মতো সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারি পরামর্শ নিন। বাচ্চার ৫ বছর বয়সের পর সুগার টেস্ট করাতে পারেন। তবে, ডাক্তারি পরামর্শ (Doctor’s Advice) মেনে টেস্ট করানো ভালো। আর পরিবারের কারওর ডায়াবেটিস থাকলে বিশেষ নজর দিন বাচ্চার (Kids) ওপর। বংশগতিক কারণে এই রোগ দেখা দেয়। তাই ছোট থেকেই সতর্ক থাকুন। এই রোগ যাতে তার শরীরে দানা বাঁধতে না পারে সে দিকে খেয়াল রাখুন।