সংক্ষিপ্ত
আপনাকে আপনার স্বাস্থ্যের প্রতি আরও যত্নবান হতে হবে এবং ফিট থাকার জন্য আপনাকে ভাল খাবারের পাশাপাশি আপনার দৈনন্দিন রুটিন পরিবর্তন করতে হবে।
পরিবর্তিত জীবনধারার কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে আপনাকে আপনার স্বাস্থ্যের প্রতি আরও যত্নবান হতে হবে এবং ফিট থাকার জন্য আপনাকে ভাল খাবারের পাশাপাশি আপনার দৈনন্দিন রুটিন পরিবর্তন করতে হবে। ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, ব্লাড প্রেসার, কোলেস্টেরলের মতো রোগ ঘরে ঘরে।
প্রতি দশ জনে দুজন একাধিক কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। গবেষণায় জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছরে এই ধরনের রোগের প্রকোপ বাড়ছে। বিশেষ করে শেষ ৪ বছরের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে হার্টের রোগে। হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেলিওর, উচ্চ রক্তচাপ থেকে করোনারি হৃদরোগে একের পর এক রোগী আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। গবেষণা বলছে, ৩৫ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেশি দেখা যায়। এবার গবেষণায় উঠে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
গবেষণা বলছে সিজন চেঞ্জে স্ট্রোক, হার্ট ফেলিওর, কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা, অ্যারিথমিয়ার ঝোঁক বাড়ে। কিছুদিন আগে সুইডেনে ২৭৪,০০০ মানুষের মধ্যে গবেষণা করা হয়। সেখানেই জানা গিয়েছে, তাপমাত্রার ওঠানামায় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। গবেষণা বলছে, এই সময় হার্ট অ্যাটাক ৩১ শতাংশ বাড়ে। স্ট্রোকের ঝুঁকি ৮০ শতাংশ বাড়ে। তাই সতর্ক থাকা প্রয়োজন বদল হওয়া মরশুমে। তা না হলে, বাড়তে পারে হৃদরোগ।
তবে হৃদযন্ত্রে গন্ডগোল দেখা দিলে ভয় পেয়ে একগাদা ওষুধ না খেলেও চলবে। শুধু মেনে চলতে হবে কয়েকটি সহজ জীবনযাত্রার অভ্যাস।
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে ওষুধ ছাড়াই হৃদরোগ নিরাময় করা যায়।
১. সকালে হাঁটার অভ্যাস করুন
প্রথমত, আপনার অভ্যাসে মর্নিং ওয়াক যোগ করুন। প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটা আপনার রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। এমনটা করলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যাবে।
২. কম চাপ নিন
মানসিক চাপ নিলে হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে খুব বেশি চাপ নেওয়া উচিত নয়। মানসিক চাপ কমাতে সপ্তাহে একবার আপনার বন্ধুদের সাথে দেখা করার চেষ্টা করুন। তা ছাড়া এমন কাজ করুন যা আপনাকে অনেক আনন্দ দেয়।
৩. খাদ্যতালিকায় ফল ও শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করুন
আপনার খাদ্যতালিকায় ফল এবং সবজি অন্তর্ভুক্ত করুন। আসলে, ফল এবং সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা আপনাকে ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। এছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগ থেকে রক্ষা করে। খাবারে যোগ করুন ওমেগা ৩। খেতে পারেন আখরোট, স্যালমন মাছ, সয়াবিন, সরষে বীজ। এগুলো হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
৪. প্রতিদিন ভালো করে ঘুমান
পর্যাপ্ত ঘুম হার্টের সুরক্ষার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমালে আপনি ফিট থাকবেন। রাত ১০ টার পরে ঘুমাতে যাওয়ার চেষ্টা করুন, কারণ ঘুমানোর সময়ও খুব গুরুত্বপূর্ণ।