সংক্ষিপ্ত
- বায়ু দূষণ স্বাস্থ্যের উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে
- হাঁপানি থেকে শুরু করে হৃদরোগের প্রভাবও বৃদ্ধি পায়
- ফুসফুসের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
- ফুসফুস পরিশুদ্ধ ও সুস্থ রাখতে পাতে রাখুন এই খাদ্য
বায়ু দূষণ স্বাস্থ্যের উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। হাঁপানি থেকে শুরু করে শ্বাস এবং হৃদরোগের প্রভাবও বৃদ্ধি পায় এর কারণে। বিশেষজ্ঞদের মতে মনে করা হয় বায়ু দূষণ কোভিড -১৯ এর মত রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়েছে। একই কারণে এই শুষ্ক মরশুমে আমাদের ফুসফুসের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্দিষ্ট ধরণের খাবারের ব্যবহার দূষণের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলি থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।
চিকিত্সকরা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলিতে সমৃদ্ধ এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যযুক্ত খাবারগুলি অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন। এই খাবারগুলি ফুসফুসকে ডিটক্স করতে এবং শরীরকে বায়ু দূষণ থেকে রক্ষা করতে পারে। আপনি যদি দূষিত জায়গায় বাস করছেন, তবে আপনাকে ফুসফুস রক্ষার জন্য ডায়েটে কিছুটা পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। জেনে নেওয়া যাক ফুসফুস পরিশুদ্ধ ও সুস্থ রাখতে কোন কোন খাদ্য পাতে রাখা দরকার-
আরও পড়ুন- একেবারে জলের দরে শুরু হল বিক্রি, দুর্দান্ত ফিচারের বাজেট ফোন নিয়ে এল Gionee
১) আদা- কাশি এবং সর্দিতে সর্বাধিক ব্যবহৃত আদা প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য ব্যবহার করা হয়। আদা শ্বসনতন্ত্র থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলি সরিয়ে দেয়। এটি ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, দস্তা এবং বিটা ক্যারোটিনের মতো ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। আদায় থাকা এই উপাদানগুলি ফুসফুসের স্বাস্থ্য উন্নত রাখতে সহায়তা করে। আপনি আপনার চা, সালাদ, তরকারীতে আদা অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
২) হলুদ- হলুদ ফুসফুসের প্রদাহ এবং রক্ত জমাট হ্রাস করতে সহায়তা করে। হলুদের সক্রিয় যৌগটি প্রাকৃতিক উপায়ে ফুসফুস পরিষ্কার করে। এটি অনাক্রম্যতা তৈরি করতে এবং শরীরকে ডিটক্স করতে সহায়তা করে। দুধ, তরকারি, সালাদ দিয়ে কাঁচা হলুদ বা হলুদ গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন।
৩) মধু- মধু প্রাকৃতিক মিষ্টি এবং এটির অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যের কারণে ব্যবহৃত হয়। এটি শ্বাসকষ্ট হ্রাস করতে সহায়তা করে। এটি শ্বাসনালী পরিষ্কার করে এবং ফুসফুসের স্বাস্থ্যের সংশোধন করে। এক চা চামচ মধু গরম জলে মিশিয়ে পান করলে ফুসফুস পরিষ্কার করতে খুব সহায়ক। এছাড়া সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতেও মধু সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
৪) রসুন- শক্তিশালী যৌগিক অ্যালিসিন রসুনে পাওয়া যায়। এটি অ্যান্টি-বায়োটিক এজেন্ট হিসাবে কাজ করে এবং শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের চিকিত্সা করতে সহায়তা করে। এটি শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি দেয় এবং রক্ত জমাট থেকে মুক্তি দেয়। ফুসফুসের ক্যান্সার এবং প্রদাহের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে। আদা খাওয়ার ফলে হাঁপানির রোগীদের উপর কার্যকর প্রভাব ফেলে।
৫) গ্রিন টি- ওজন হ্রাস থেকে শুরু করে প্রদাহ পর্যন্ত স্বাস্থ্যের অনেক উপকারী। দিনে দুবার গ্রিন টি খাওয়া ফুসফুসের সমস্যা নিরাময়ে সহায়ক বলে মনে করা হয়।