সংক্ষিপ্ত

শীত পড়তে না পড়তেই হাঁচি, নাক বন্ধ এসব দোসরের মতো চলে আসে। অনেকেই রয়েছেন যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত আছে। 

সিজন চেঞ্জ প্রায় সবার কাছেই আতঙ্কের। বিশেষ করে এই করোনা মহামারি কালে। ঠান্ডা-গরম, আর গরম থেকে ঠান্ডা, এই সময়টায় ঘরে ঘরে হাঁচি, কাশি, সর্দির প্রকোপ। তখনই মনে ভয়, বুক দুরুদুরু-করোনা নয় তো? ঠাণ্ডায় এই এক বড় সমস্যা। যতই সাবধানে থাকি না কেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই এই সমস্যা শুরু হয়ে যায়। শীত পড়তে না পড়তেই হাঁচি, নাক বন্ধ (sneezing and coughing problems) এসব দোসরের মতো চলে আসে। আর ছেড়ে যেতে চায় না। সব ঘরেই  হয়তো একইরকম সমস্যা। অনেকেই রয়েছেন যাঁদের ঠান্ডা (Cough and Cold) লাগার ধাত আছে। তবে খাবারের পাতে (immunity boosting breakfast) সামান্য কিছু অদল বদল হয়ত এই সমস্যার সমাধান ঘটাতে পারে।  

ব্রেকফাস্টে খুবই সামান্য পরিবর্তনের কথা বলছি। যেমন ধরুন, খাবারের অভ্যাস বা আপনার ফুড হ্যাবিট। বাঙালি বাড়িতে অনেক সময়েই ব্রেকফাস্টে রুটি, পরোটা, লুচি, আলুর তরকারি এসব হয়ে থাকে। কিন্তু এসবের মধ্যেও আপনাকে আপনার স্বাস্থ্যকর খাবার খুঁজে নিতে হবে। যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। আর আপনিও হাঁচি, কাশি অযথা শরীর খারাপ ইত্যাদিকে রুখে দিতে পারবেন। ঠান্ডা লাগার ধাত আস্তে আস্তে চলে যাবে।

১. পাতিলেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এই কথা অবশ্যই মাথায় রাখবেন। সকালে উঠেই খালি পেটে যদি পাতি লেবু খেতে পারেন, খুবই ভাল হয়। এক গ্লাস গরম জলে পাতি লেবুর রস চিপে নিয়ে সেই জল খেয়ে নিন। নিয়মিত খেতে পারলে আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বাড়বে। তাই এই অভ্যাস যাঁদের থাকে, তাঁদের চট করে ঠান্ডা লেগে যায় না। 

২. প্রোটিন জাতীয় খাবার কখনও বাদ দেবেন না। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রোটিন সব সময় ভাল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। তাই ব্রেকফাস্টে প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে আপনার ওজন কমে। একইসঙ্গে শরীরের পেশীগুলি মজবুত হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

৩. আদায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি থাকে। তাই এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। হজমে সাহায্য করে আদা। গলা ব্যথাতেও একইভাবে উপকারী। তাই আপনি আপনার সকালের চায়ে আদা দিয়ে ফুটিয়ে নিতে পারেন। অন্যান্য গুণও আদার আছে। আপনার স্বাস্থ্যের জন্য যেমন এই চা ভাল। একইভাবে আপনার চায়ে একটি ফ্লেভারও যোগ করে আদা।

৪. আপনি যে ধরনের খাবার খেয়েই অভ্যস্ত থাকুন না কেন, সারাদিনে একটা ফল অন্তত খান। তবে ফলের রস খাওয়ার থেকেও ফল আপনি চিবিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন। ফল চিবিয়ে খেলে ফাইবার আসবে শরীরে। ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। যাঁরা ফ্রুট স্যালাড খেয়ে অভ্যস্ত, তাঁদের বিষয়টি আলাদা। এই অভ্যাস করলে হাঁচি, কাশির সমস্যা অনেকটা কমে যায়। চট করে ঠান্ডা লেগে যায় না। যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত আছে, তাঁরা অবশ্যই এটা মেনে চলুন।

৫. অনেকেই চা খান না, তাঁরা দুধে হলুদ দিয়ে খেতে পারেন, হলুদ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। হলুদের গুণের জন্য দীর্ঘসময় ধরেই নানা কাজে ও সমস্যা সমাধানে হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে। হলুদ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। তাই আপনি আপনার সকালের পানীয়তে সামান্য হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন। আপনার ইমিউনিটি বাড়বে। হাঁচি, কাশির সমস্যা অনেকটাই ঠিক হয়ে যাবে।