সংক্ষিপ্ত

আসলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অনেক মানুষ রয়েছেন যাঁরা নিরামিষ খাবার খান। মাছ, মাংস তাঁরা কোনও দিনই খাননি। মোট জনসংখ্যার ৩১ শতাংশ নিরামিষভোজী, এবং এমনকী যাঁরা আমিষ খাবার খান, তাঁদের মধ্যে ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি রয়েছে। 

শরীরের জন্য সব ভিটামিনই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, তার মধ্যে অন্যতম হল ভিটামিন বি। এর মধ্যে রয়েছে আটটি গ্রুপ, যার মধ্যে একটি হল ভিটামিন বি১২। আমরা যে খাবার খাই, সেটাকে শক্তিতে রূপান্তর করার জন্য এই ভিটামিন বি১২ অত্যন্ত জরুরি। কার্বোহাইড্রেট থেকে শক্তি উৎপাদন করে শরীরকে সহায়তা করার পাশাপাশি, এই বি ভিটামিনগুলি অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলিকে ফ্যাট এবং প্রোটিন ব্যবহার করতে সহায়তা করে। ভিটামিন বি১২ শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুলির মধ্যে একটি। কিন্তু, বিশ্বের বহু মানুষ রয়েছেন যাঁরা এই পুষ্টির ঘাটতিতে ভুগছেন। আমাদের দেশেও তার প্রভাব রয়েছে। এর প্রধান কারণ হল নিরামিষ খাওয়া।  

আসলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অনেক মানুষ রয়েছেন যাঁরা নিরামিষ খাবার খান। মাছ, মাংস তাঁরা কোনও দিনই খাননি। মোট জনসংখ্যার ৩১ শতাংশ নিরামিষভোজী, এবং এমনকী যাঁরা আমিষ খাবার খান, তাঁদের মধ্যে ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি রয়েছে। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৭ শতাংশ মানুষ ভিটামিন বি-১২ এর ঘাটতিতে ভুগছেন। শুধুমাত্র নিরামিষ খাবার খাওয়ার জন্যই এই সমস্যা দেখা যায়। 

আরও পড়ুন- মন খুলে সরি বলুন, ক্ষমা করে দিন- দেখবেন ভালো খারবেন আপনিও

ভিটামিন বি১২-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হল স্বাস্থ্যকর রক্ত এবং স্নায়ু কোষ বজায় রাখা। পুষ্টি কোষে ডিএনএ এবং জেনেটিক উপাদান তৈরিতে ভূমিকা পালন করে। আর এই ভিটামিন রক্তালপতা প্রতিরোধে সক্ষম। যার মধ্যে অস্বাভাবিক অস্থি মজ্জা গঠন, অপরিপক্ক লোহিত রক্ত কণিকা ইত্যাদি রয়েছে।

হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্যও পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি১২ গ্রহণ করা প্রয়োজন। শরীরে যখন এই প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়, তখন অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। শুধু আপনার শারীরিক স্বাস্থ্যই নয়, এই ভিটামিনের ঘাটতি আপনার মেজাজকেও প্রভাবিত করতে পারে। এছাড়া স্বাস্থ্যকর চুল, ত্বক এবং নখের জন্যও শরীরে এই পুষ্টির প্রয়োজন।

আরও পড়ুন- সুযোগ পেলেই চকলেটে কামড়? এই নিয়মগুলো জানেন নিশ্চয়ই!

সাধারণত নিরামিষভোজীদের মধ্যে ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি বেশি দেখা যায়। কারণ নিরামিষ খাবারের মধ্যে থাকে পুষ্টি থাকে না। ভিটামিন বি১২-এর প্রাকৃতিক উৎসগুলির বেশিরভাগই প্রাণী-ভিত্তিক খাদ্য। যেগুলি পাওয়া যায় মাছ, মাংস থেকে। তার জেরে শরীরে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা যায়। সেই কারণেই চিকিৎসকরা মাছ আর ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন। ভিটামিন বি১২ -র কিছু সাধারণ উৎস হল দুধ, ডিম, দই, স্যামন, টুনা, বিফ, মাংসের লিভার এবং কিডনি, মাশরুম, গাঁজন করা খাদ্য, নিউট্রিশন্যাল ইস্ট। ফলে শুধু নিরামিষ না খেয়ে এগুলিও রাখুন আপনার ডায়েটের মধ্যে।