সংক্ষিপ্ত
- যত দিন যাচ্ছে ততই যেন নিজের চরিত্র বদলে নিচ্ছে করোনা ভাইরাস
- বর্তমানে করোনা উপসর্গের তালিকায় ঢুকে পড়েছে পেশী ব্যথা, গাঁটের ব্যথা
- যত ব্যথা বাড়বে তত ফুসফুসের সমস্যাও আরও জটিল হবে
- ওষুধ খেয়ে, ব্যায়াম করেও ব্যথা না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
করোনা গ্রাস করেছে গোটা বিশ্বকে। যত দিন যাচ্ছে ততই যেন নিজের চরিত্র বদলে নিচ্ছে করোনা ভাইরাস। আগে শুধুমাত্র ঠান্ডা , জ্বর ,কাশি, শ্বাসকষ্ট হলেই করোনা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যেত সকলে। কিন্তু বর্তমানে করোনা উপসর্গের তালিকায় ঢুকে পড়েছে পেশী ব্যথা, গাঁটের ব্যথা। আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল ও প্রিভেশন এর অভিমত অনুসারে কোভিড-১৯ উপসর্গের তালিকা। তবে সকলেরই যে এই সমস্যাটি হবে তা কিন্তু নয়, তবে ১৪.৮ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে এমনটা হতে পারে বলে দাবী বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন-শহরের রাস্তায় নামতে চলেছে ওলা-উবের, কোন কোন জোনে পাবেন এই পরিষেবা...
প্রথমদিকে করোনার উপসর্গ হিসেবে এই ব্যথাকে অত গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। কিন্তু পরে সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। কিছু কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, এই উপসর্গ পরে মারত্মক আকার ধারণ করেছে। যত ব্যথা বাড়বে তত ফুসফুসের সমস্যাও আরও জটিল হবে। সমীক্ষায় দেখা গেছে,ঠান্ডা , জ্বর ,কাশি, শ্বাসকষ্ট তো রয়েইছে এর পাশাপাশি গাঁটের ব্যাথা, পেশীতে টান, মাথা ব্যথাও লক্ষ করা গেছে। তবে সবার ক্ষেত্রে তেমনটা নয়। ঋতু পরিবর্তন, একটানা ঘরবন্দি হয়ে বসে থাকার ফলেও পেশীতে টান, গাটের ব্যথা বাড়ছে।
আরও পড়ুন-শরীর ফিট রাখতেই নয়, যোগাসনেই বাড়বে সম্পর্কের উষ্ণতা...
ব্যথা যদি একটানা অনেকদিন থাকে। এবং ওষুধ খেয়ে, ব্যায়াম করেও কোনও সমাধান না মেলে তাহলে তা নিয়ে অবশ্যই ভয় আছে। এছাড়া এই ব্যথার পাশাপাশি যদি কোভিড-১৯ এর কোনও উপসর্গ দেখা যায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। উপসর্গ দেখে চিকিৎসক যদি মনে করান করোনার টেস্ট করাতে হবে তাহলে দেরি না করে অবশ্যই তা করে নেবেন। রির্পোট নেগেটিভ আসলে তো কোনও কথাই নেই যেমন ওষুধ খাচ্ছিলেন তেমনটাই খাবেন আর যদি পজিটিভ আসে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই চিকিৎসা করতে হবে। করোনা ভাইরাস নামটা শুনলেই প্রত্যেকেই যেন আতঙ্কিত। মুহূর্তের মধ্যে একজনের থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। মানুষের নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গেই ছড়িয়ে যাচ্ছে এই রোগের জীবানু। কোনওভাবেই আটকানো যাচ্ছে না এই ভাইরাসকে। এই ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত সর্তকতা নেওয়া হয়েছে। ভারতে আসার পর থেকে এই আতঙ্ক এবার আরও বেড়েছে। করোনা রুখতে একটানা লকডাউনের ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। তাতে কি আদৌ আটকানো যাচ্ছে করোনা ভাইরাসকে।