সংক্ষিপ্ত

জরায়ুর ক্যান্সারের বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম দেশীয়ভাবে তৈরি উন্নত মানের ভ্যাকসিন চালু হতে চলেছে। বৃহস্পতিবার এই বহুল প্রতীক্ষিত ভ্যাকসিনটি চালু করবেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং।

জরায়ুমুখ ক্যান্সার সারা বিশ্বে সর্বোচ্চ পরিচিত রোগগুলির মধ্যে ১২তম পরিচিত নাম। নারীদের জন্য ৫ম প্রাণঘাতী রোগের নাম জরায়ুমুখ ক্যান্সার। প্রতি ১ লাখে প্রত্যেক বছর ১৬ জন নারী এই রোগে আক্রান্ত হন। যাদের ৮জনই মৃত্যুবরণ করেন। আনুমানিক ৮০ শতাংশ উন্নয়নশীল দেশের নারীরা এই ব্যাধিতে আক্রান্ত।

সাধারণত মেয়েদের ১০ বছর বয়সের পর থেকেই জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধক টিকা নেওয়া যায়। মোট তিনটি ডোজে এই টিকা নিতে হয়। প্রথম ডোজের এক মাস পর দ্বিতীয় ডোজ এবং প্রথম ডোজের ছয় মাস পর তৃতীয় ডোজের টিকা নিতে হয়। টিকা গ্রহণের পাশাপাশি নিয়মিত পরীক্ষা করালে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের আক্রমণের হার কমিয়ে আনা যায়। 

জরায়ুর ক্যান্সারের বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম দেশীয়ভাবে তৈরি উন্নত মানের কোয়াড্রিভ্যালেন্ট হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস ভ্যাকসিন (কিউএইচপিভি) চালু করতে প্রস্তুত হল সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই) এবং ডিপার্টমেন্ট অফ বায়োটেকনোলজি (ডিবিটি)। সরকারি সূত্র মারফৎ জানা গেছে, ১ সেপ্টেম্বর থেকে বাজারে আসতে চলেছে এই ভ্যাকসিন।

বৃহস্পতিবার এই  বহুল প্রতীক্ষিত ভ্যাকসিনটি চালু করবেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। কোভিড ওয়ার্কিং গ্রুপের চেয়ারপার্সন ডক্টর এন কে অরোরার মতে, ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন (এনটিজিআই) বলেছেন যে ক্যান্সার প্রতিরোধে ভারতে তৈরি ভ্যাকসিন চালু করা এক উত্তেজনাপূর্ণ অভিজ্ঞতা।


"এটি খুবই উত্তেজনাপূর্ণ এবং আমি অবশ্যই বলব, এটি আমাদেরকে খুবই আনন্দ দেয় যে আমাদের মেয়েরা এবং নাতনিরা এখন এই বহুল প্রতীক্ষিত ভ্যাকসিনটি পেতে সক্ষম হবে।"
"চালু করা সর্বশেষ প্রধান ভ্যাকসিনগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। এই প্রোগ্রামে চালু করা শেষ টিকাগুলির মধ্যে একটি হল এই ভ্যাকসিনটি। এখন ভারতীয় ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে এবং আমরা আশা করি এটি চালু হবে ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সী মেয়েদের জন্য জাতীয় টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে”, জানিয়েছেন ডক্টর এন কে অরোরা।


"এটি খুবই কার্যকর এবং জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। কারণ, ৮৫ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে, জরায়ু মুখের ক্যান্সার এই বিশেষ ভাইরাসটির কারণে হয় এবং এই ভ্যাকসিনটি সেই ভাইরাসগুলিকে প্রতিরোধ করে। তাই, যদি আমরা এটি ছোট বাচ্চাদের এবং মেয়েদের দিই, তাহলে তারা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকবে এবং এর ফলস্বরূপ সম্ভবত ৩০ বছর পরে ক্যান্সার আর আসবেই না", ডঃ অরোরা ব্যাখ্যা করেছেন।


"বিশ্বের বাজারে ঘাটতি ছিল। এখন ভারতীয় ভ্যাকসিন এসেছে। তাই, আমরা আমাদের মেড-ইন-ইন্ডিয়া ভ্যাকসিনের মাধ্যমে আমরা নিজেরাই আমাদের প্রয়োজনীয়তা পূরণে সক্ষম হব", তিনি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন-
‘কলঙ্কিত নায়ক’ নাকি ‘গণতন্ত্রের পূজারী’, কে এই মিখাইল গর্বাচেভ?
প্রেম প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানে কিশোরীর গায়ে আগুন, ১৪৪ ধারার মধ্যেই ঝাড়খণ্ডে অঙ্কিতার শেষকৃত্য
ইংল্যান্ডে ফুরফুরে মেজাজে ইমন চক্রবর্তী, দেখে নিন তাঁর অপূর্ব কিছু ছবি