সংক্ষিপ্ত
- বারতি ওজন নিয়ে আমরা সকলেই চিন্তিত
- মোটা হওয়ার আরও একটি ঝুঁকির কথা জানিয়েছেন গবেষকরা
- পুরুষের কোমর ৪০ ইঞ্চির বেশি হলেই রয়েছে মারাত্মক ঝুঁকি
- রয়েছে প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি
বারতি ওজন নিয়ে আমরা সকলেই চিন্তিত। কি ভাবে এই অতিরিক্ত ওজন কমানো যায়, সেই বিষয়ে নানান ব্যবস্থাও নেন অনেকে। তবে সম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা এই বারতি ওজন নিয়ে চিন্তা বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা স্থূলত্ব বা মোটা হওয়ার আরও একটি ঝুঁকির কথা জানিয়েছেন। গবেষণা অনুসারে, যদি কোনও পুরুষের কোমর ৪০ ইঞ্চির বেশি হয়, তবে প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত থাকে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এই গবেষণা প্রায় ২ লক্ষ পুরুষের উপর করেছেন। গবেষকদের মতে, শরীরের চর্বি বা উচ্চ বিএমআই চিন্তার বিষয় নয়। শরীরের নির্দিষ্ট অংশে মেদ বাড়ার কারণে প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে। এর জন্য বিজ্ঞানীরাও এর কারণগুলি ব্যাখা করেছেন। গবেষণা বলেছে, পেটে জমা চর্বি সবচেয়ে বিপজ্জনক কারণ, এটি লিভার, অগ্ন্যাশয় এবং অন্ত্রকে প্রভাবিত করে যা শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আর এই চর্বি এই অঙ্গগুলির কাজ করার ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করে। এছাড়াও এর ফলে প্রোটেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
প্রোস্টেট ক্যান্সার কী?
পুরুষদেরই প্রস্টেট গ্রন্থি রয়েছে। প্রস্টেট গ্রন্থির কোষে হওয়া ক্যান্সারকেই প্রোস্টেট ক্যান্সার বলা হয়। এর আকার অনেকটা কাজুবাদামের সমান। মুত্রথলির নিচ থেকে যেখানে মুত্রনালী বের হয়েছে সেটির চারপাশ জুড়ে এই গ্রন্থিটি রয়েছে। এর মধ্য দিয়েই মূত্র এবং বীর্য প্রবাহিত হয়। এই গ্রন্থির মূল কাজ হচ্ছে বীর্যের জন্য কিছুটা তরল পদার্থ তৈরি করা।
প্রোস্টেট ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ-
১) ঘন ঘন মূত্র ত্যাগের সমস্যা দেখা দেয়, বিশেষ করে রাতের বেলায়।
২) প্রস্রাবের প্রচন্ড বেগ পাওয়া, এমনকী সমস্যা বৃদ্ধি পেলে বেগ সামলানো সম্ভব হয় না।
৩) প্রস্রাব করতে সমস্যা বা ব্যাথা অনুভূব হওয়া।
৪) প্রস্রাব করতে প্রচুর সময় লাগা।
৫) প্রস্রাবে বেগ থাকে না।
৬) প্রস্রাব করার পরেও প্রস্রাবের বেগ রয়েছে এমন অনুভব হওয়া।
৭) বীর্যপাতের সময় যন্ত্রণা হওয়া।
এছাড়াও আরো কিছু লক্ষণ মাঝে মাঝে দেখা যায়।
সবচেয়ে সহজ উপায়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ-
প্রথমে কত ক্যালোরি গ্রহণ করা উচিত এবং কীভাবে এটি বার্ন করা উচিত তার সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন। এই জন্য, প্রতিদিন শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। এমনকি দৈনিক ৩০ মিনিট হাঁটা, সিঁড়ি ব্যবহার, রাতে হালকা খাবার খাওয়া এবং ঘরের কাজকর্ম করেও স্থূলতা সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। প্রয়োজনে এক পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করুন। অতিরিক্ত তেল-মশলা জাতিয় খাদ্য ত্যাগ করে তার বদলে সবুজ শাক-সবজি, টাটকা ফল রাখুন প্রতিদিনের ডায়েটে। পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে শরীরের চাহিদা বুঝে একটি সঠিক ডায়েট চার্ট মেনে চলুন।