সংক্ষিপ্ত

হৃৎপিণ্ডে যখনই কিছু সমস্যা আসতে আসে, তার আগে কিছু সতর্কীকরণ লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে যার দিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি। যা আমাদেক সকলের জানা থাকলে হয়তো কিছু প্রাণ বাঁচতে পারে।
 

হার্ট ছাড়া আমরা আমাদের জীবন কল্পনাও করতে পারি না, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত চলে এর অবিরাম স্পন্দন। তবে আমরা প্রায়শই এই নির্দিষ্ট অঙ্গটির সুরক্ষার প্রতি যত্ন নিই না। হৃৎপিণ্ডে যখনই কিছু সমস্যা আসতে আসে, তার আগে কিছু সতর্কীকরণ লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে যার দিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি। যা আমাদেক সকলের জানা থাকলে হয়তো কিছু প্রাণ বাঁচতে পারে।
এই রোগগুলি থেকে আপনার হৃদয়কে বাঁচান
আপনি যদি চান যে আপনি হার্ট অ্যাটাক, করোনারি আর্টারি ডিজিজ বা ট্রিপল ভেসেল ডিজিজের মতো রোগের ঝুঁকিতে নেই, তাহলে আজ থেকেই হার্টের যত্ন নেওয়া শুরু করা ভাল, এর জন্য কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের উপায়-
নিয়মিত আপনার ওজন পরীক্ষা করতে থাকুন এবং অযথা বাড়তে দেবেন না
যারা স্থূলকায় তারা নিয়মিত ব্যায়ামের দিকে মনোযোগ দিন,
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যতটা সম্ভব স্বাস্থ্যকর খাবার খান, 
উচ্চ রক্তচাপ থাকলে লবণ খাওয়া কমিয়ে দিন 
বেশি কফিও রক্তচাপ বাড়ায় যা হার্টের জন্য ভালো নয়,
ডায়াবেটিক রোগীদের হৃদরোগের প্রবণতা বেশি।
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খাবেন না
হাঁটা বা দৌড়ানোর সময় হৃদস্পন্দনে অনিয়ম হলে সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করান,
যতদূর সম্ভব তৈলাক্ত খাবার থেকে দূরে থাকুন।

খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন-
হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে সবার আগে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন। এর জন্য ওমেগা-৩, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার খান। বিশেষ করে খাবারে রসালো ফল, শুকনো ফল খান। বেশি ভাজা এবং মশলাদার জিনিস থেকে দূরে থাকুন।

আরও পড়ুন- স্যানিটারি প্যাডের ভুল ব্যবহারে যোনিপথে হতে পারে সংক্রমণ, জেনে নিন বিশেষজ্ঞের মত

আরও পড়ুন- মহিলাদের প্যান্টিতে ব্লিচের মত ছোপ দেখা যায়, কেন এমনটা হয় জেনে নিন কারণ

আরও পড়ুন- দুর্দান্ত ভাবে এই কাজগুলিতে ব্যবহার করা যায় বাদামের খোসা

শারীরিক কার্যকলাপও প্রয়োজনীয়
হার্টকে সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি শারীরিক ক্রিয়াকলাপ খুবই জরুরী, অন্যথায় আপনার শরীরের চর্বি সহজে কমে না এবং ফোলা বাড়তে শুরু করে।
সিগারেট অ্যালকোহল থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন
কিছু খারাপ অভ্যাস আছে যা আমাদের স্বাস্থ্য নষ্ট করে। বেশিরভাগ যুবক সিগারেট এবং মদ্যপানে আসক্ত হয়ে পড়েছে, যার কারণে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উপর খুব খারাপ প্রভাব পড়ছে। এসব থেকে যত তাড়াতাড়ি মুক্তি পাবেন ততই ভালো।