রেগাল কুমার সিং ৩৪ বছর বয়সী, রাজা কি মান্ডি সরকারি রেলওয়ে থানার একজন জিআরপি কনস্টেবল। রবিবার সকাল ৯ টা বেজে ২৫ মিনিটে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। আট মাস ধরে রাজা কি মান্ডি থানায় ডেপুটেশনে ছিলেন ওই পুলিশকর্মী। সিং বিজনোরের বাসিন্দা ছিলেন। হঠাৎ মাথা ঘুড়ে চলন্ত মালবাহী ট্রেনের তলায় পড়ে যান তিনি। 

একটি সিসিটিভি যা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে একটি প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা একজন রেলওয়ে পুলিশ কনস্টেবল আগ্রার রাজা কি মান্ডি রেলওয়ে স্টেশনে মাথা ঘোরা বোধ করার পরে রেলপথে পড়ে গেছেন, পুলিশ জানিয়েছে। পুরো ঘটনাটি সিসিটিভিতে রেকর্ড হয়েছে। ধীরগতির ট্রেনের চাকায় পিষ্ট হয়ে তার মৃত্যু হয়।


জিআরপি কনস্টেবল
খবরে বলা হয়েছে, নিহতের নাম রেগাল কুমার সিং ৩৪ বছর বয়সী, রাজা কি মান্ডি সরকারি রেলওয়ে থানার একজন জিআরপি কনস্টেবল। রবিবার সকাল ৯ টা বেজে ২৫ মিনিটে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। আট মাস ধরে রাজা কি মান্ডি থানায় ডেপুটেশনে ছিলেন ওই পুলিশকর্মী। সিং বিজনোরের বাসিন্দা ছিলেন। হঠাৎ মাথা ঘুড়ে চলন্ত মালবাহী ট্রেনের তলায় পড়ে যান তিনি।

ঠিক কি ঘটেছিল-
পরবর্তী সময়ে তাঁর দেহ পরিবার-স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আট মাস ধরে রাজা কি মান্ডি থানায় ডেপুটেশনে ছিলেন ওই পুলিশকর্মী। রেগাল কুমার সিং বিজনোরের বাসিন্দা ছিলেন। কিন্তু ঘটনা হল কি হয়েছিল এই জিআরপি কনস্টেবল-এর। কেন তিনি দাঁড়িয়ে থাকা জায়গায় পাক খেয়ে চলন্ত ট্রেনের নীচে গিয়ে পড়লেন। চিকিৎসকদের মতে, নিহতের রেগাল কুমার সিং হঠাৎ করেই মৃগী রোগে আক্রান্ত হন। এই রোগটিকে জায়রাটরি সিসর বলে এটি মৃগী রোগের আরেক রূপ। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ১৮০ বা ৩৬০ ডিগ্রী পর্যন্ত পাক খেয়ে তারপর মাথা ঘুড়িয়ে পড়ে যান।

Scroll to load tweet…


মৃগী রোগে আক্রান্ত 
মনে রাখবেন মৃগী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজে এর প্রতিকার করতে পারেন না। এই সময় তাঁর পাশে যিনি থাকবেন তিনিই পারেন এদের সাহায্য করে বাঁচিয়ে তুলতে। এটি সাধারণত নিউরোলজিক্যাল বা স্নায়ুবিক রোগ যাতে খিঁচুনি হয়। পথচলতি কোনও ব্যক্তি এই রোগে আক্রান্ত হলে তাঁকে সাহায্য করতে পারবেন আপনিও। আপনার সাহায্যেই তিনি সুস্থ্য হয়ে উঠতে পারেন। জেনে নিন এই রোগের প্রাথমিক প্রতিকারগুলি।

মৃগীর প্রাথমিক প্রতিকার
মৃগী আক্রান্ত কোনও ব্যক্তির খিঁচুনি হওয়ার পর যখন জ্ঞান ফিরে আসে, তখন রোগীর কিছু সময়ের জন্য মানসিক বিভ্রম দেখা দেয়। এই সময় রোগীর পাশেই থাকুন, তাকে আশ্বস্ত করুন। আক্রান্ত ব্যক্তি পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় না আসা অবধি রোগীকে ছেড়ে যাবেন না। প্রকৃতপক্ষে, খিঁচুনী চলাকালীন সময়ে শুধু প্রাথমিক চিকিৎসা এবং সাধারণ জ্ঞানের প্রয়োগ ছাড়া তেমন কিছু করার থাকে না। 

কাউকে খিঁচুনীতে আক্রান্ত হতে দেখলে, অহেতুক আতঙ্কগ্রস্ত হবেন না। কারণ, অধিকাংশ খিঁচুনীই মৃত্যু ঝুঁকিপূর্ণ নয়। বিপদের আশঙ্কা রয়েছে এমন জিনিস যেমন আগুন, জল, ধারালো বস্তু, আসবাবপত্র রোগীর নিকট থেকে সরিয়ে ফেলুন। খিঁচুনী-আক্রান্ত অবস্থায় রোগীকে সরানোর চেষ্টা করবেন না। রোগী দাঁড়ানো বা চেয়ারে বসা অবস্থায় খিঁচুনীতে আক্রান্ত হলে তাকে আলতো করে ধরে মেঝেতে শুইয়ে দিন অথবা এমন ব্যবস্থা রাখুন, যাতে রোগী পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত না পায়। 

রোগীর মাথার নিচে বালিশ বা নরম কোনও কাপড় জাতীয় কিছু দিন। খিঁচুনী স্বাভাবিকভাবে শেষ হতে দিন। এই সময় আক্রান্তকে চেপে ধরবেন না। রোগীর মুখে জোর করে আঙুল বা অন্য কিছু ঢোকানোর চেষ্টা করবেন না। রোগীর জিহ্বায় দাঁত দিয়ে কামড় লাগলেও খিঁচুনী থাকা অবস্থায় তা ছাড়ানোর জন্য জোর করা উচিত নয়। খিঁচুনী শেষ হলে রোগীকে এক পাশে কাত করে শুইয়ে দিন। আক্রান্তের পোশাক হালকা করে দিন। রোগীর আশেপাশে বেশি ভীড় জমতে দেবেন না।

খিঁচুনী যদি ৫ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়, কিংবা রোগীর একবার খিঁচুনীর পর জ্ঞান ফেরার আগেই দ্বিতীয় খিঁচুনী চলে আসে তা হলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতাল অথবা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। খিঁচুনী শেষ হলে রোগীর নাড়ীর স্পন্দন অনুভব করুন, রোগী ঠিক মতো শ্বাস নিতে পারছে কি না সেদিকে নজর রাখুন। শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যাহত হয় এমন কোনও কিছু মুখে বা নাকে থাকলে তা সরিয়ে দিন। এই কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই আপনার সাহায্যে একটি প্রাণ বাঁচতে পারবে। নিজে জানুন এবং অন্যকেও জানার জন্য সাহায্য করুন।