সংক্ষিপ্ত
জনসাধারণকে সতর্ক করতে বিশেষ বার্তা দেওয়া হল WHO এর পক্ষ থেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিশেষ বার্তা প্রকাশ করা হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে। জেনে নিন এই রোগ থেকে বাঁচতে কী করবেন।
করোনার পর মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে চিকিৎসকদের কপালে। বহুদিন ধরে ঘটে চলেছে মাঙ্কি পক্সের সংক্রমণ। এই রোগ থেকে বাঁচতে বারে বারে সতর্ক করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এবার জনসাধারণকে সতর্ক করতে বিশেষ বার্তা দেওয়া হল WHO এর পক্ষ থেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিশেষ বার্তা প্রকাশ করা হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে। জেনে নিন এই রোগ থেকে বাঁচতে কী করবেন।
মাঙ্কিপক্সের লক্ষণ-
ত্বকে Rash-, গায়ে হাত পা ব্যথা হলে উপেক্ষা করবেন না।
যদি দেখেন মুখের ভিতর, গলা চোখ কিংবা শরীরে অন্য কোনও অংশে ছোট ফোঁড়ার মতো ত্বকের সমস্যা লক্ষ করেন তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এই মাঙ্কিপক্সের ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলে জ্বর হয় রোগীদের। এর সঙ্গে অসহ্য মাথা ব্যথা ও গা-হাত পায়ে ব্যথার সমস্যা দেখা দেয়।
এর সঙ্গে ক্লান্তি বোধ, মূত্র ত্যাগে ব্যথা হলে ফেলে রাখবেন না। মাঙ্কিপক্স ভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধলে হলে এমনটা হতে পারে।
মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ-
মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত কোনও ব্যক্তির সংস্পর্ষে এলে এর থেকে সংক্রমণ হতে পারে। মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন মিলন কিংবা তার গায়ে স্পর্শ করলে এই রোগে সংক্রমিত হতে পারেন।
যদি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে দূরে থাকুন। এমন রোগীর সংস্পর্শে আসবেন না। তার ব্যবহৃত তোয়ালে বা কাপড় ব্যবহার করবেন না।
মাঙ্কিপক্স আক্রন্ত ব্যক্তিকে চুম্বন করলেও আক্রান্ত হতে পারেন এই রোগে। এতে ভাইরাস মুখ গিয়ে আপনার শরীরে প্রবেশ করবে।
যৌন মিলনের ফলে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। এই রোগে আক্রন্ত ব্যক্তির থেকে দূরে থাকুন। যৌন সম্পর্ক গঠন করবেন না ভুলেও। এর থেকে সংক্রমিত হতে পারেন।
মাঙ্কিপক্সের আক্রান্ত হলে-
মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হলে সবার আগে কাজ থেকে বিরতি নিন। প্রয়োজন বিশ্রামের।
এই রোগ থেকে যতদিন না মুক্ত হচ্ছেন তত দিন এক ঘরে থাকুন। কারও স্পর্শে আসবেন না। আপনার থেকে দূরে রাখুন পোষ্যকে।
চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ ও খাবার খান। আপনার ত্বকের Rash -এ বারে বারে হাত দেবেন না। এতে রোগের সংক্রমণ বাড়বে।
মাঙ্কিপক্স থেকে মুক্তির উপায়-
মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকুন। এই রোগে আক্রান্ত কোনও ব্যক্তির সংস্পর্শে আসবেন না। তেমনই সোশ্যাল ডিস্টেসিং মেনে চলুন। আর রোগের কোনও রকম উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আর সঠিক সময় ভ্যাকসিন নিন। এই উপায় রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব।
আরও পড়ুন- বাচ্চার বয়স যদি ২ বছরের অধিক হয়, অবশ্যই খাদ্যতালিকায় যোগ করুন এই পাঁচ খাবার