সংক্ষিপ্ত
WFH কালে সুস্থ থাকতে ও কাজের গুণগত মান (Productivity) বৃদ্ধিতে মেনে চলুন এই কয়টি জিনিস।
দীর্ঘ দু বছর হতে চলল ওয়ার্ক ফ্রম হোম চলছে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই ল্যাপটপ অন করছেন। দুপুর পর্যন্ত চলছে কাজ। তারপর ব্রেক নিয়ে স্নান ও খাওয়া সেরেই আবার কাজে বসে যাচ্ছেন। হিসেব মতো ৯ ঘন্টার শিফট হলেও, আপনার কাজ শেষ হতে ১২ ঘন্টার অধিক অতিক্রান্ত হচ্ছে। আর ছুটির দিনের চিত্রও প্রায় একই। কম কাজ করছেন ঠিকই, কিন্তু কাজ থেকে রেহাই নেই। বর্তমানে এমন ভাবে জীবন কাটাচ্ছেন বহু কর্মী। এতে একের পর এক খারাপ প্রভার পড়ছে তাদেরই শরীরে। এভাবে কাজ করার জন্য ওজন (Weight) বেড়েছে অধিক, তারপর মানসিক চাপ (stress) তো আছেই। এছাড়া, এক ঘেঁয়ে জীবনের জন্য মানসিক অবসাদে ভুগছেন অনেকেই। করোনার সময় কর্মীদের সুস্থতার কথা চিন্তা করেই অধিকাংশ অফিস ওয়ার্ক ফ্রম হোম পন্থায় কাজ করাচ্ছে। এতে করোনা থেকে মুক্তি মিললেও হচ্ছে অন্য বিপদ। এই WFH কালে সুস্থ থাকতে ও কাজের গুণগত মান বৃদ্ধিতে মেনে চলুন এই কয়টি জিনিস।
কাজের যতই চাপ (Work Pressure) থাকুন। নিজের জন্য সময় বের করুন। সকালে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট নিজেকে সময় দিন। এই সময় চেষ্টা করুন এক্সারসাইজ করতে। বাড়িতে থেকে বের হওয়া সমস্যা মনে হলে বাড়িতেই যোগা করুন। আর অবশ্যই মেডিটেশন (Meditation) করবেন। দিনের পর দিন বাড়িতে থাকার জন্য অনেকেরই নানা রকম মানসিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই মেডিটেশন করুন। এতে কাজেরও উন্নতি হবে।
সকাল থেকে উঠেই কাজে বসে যাচ্ছেন। সেই কাজ চলছে রাত পর্যন্ত। আবার ল্যাপটপ (Laptop) বন্ধ করে ঘুমাচ্ছেন। এই জন্য, অনেকেরই ল্যাপটপ স্থান পেয়েছে বিছানা (Bed)। সারাদিন কাজ করার জন্য এটা নিজের কাছেই রাখছেন অনেকে। এই অভ্যেস আজ থেকেই বন্ধ করুন। কাজ শেষ হলে ল্যাপটপ টেবিল কিংবা অন্য কোনও স্থানে রাখুন। চোখের সামনে এটা যত দেখবেন, তত মানসিক চাপ বাড়বে।
কাজ শেষ হলে টিভি কিংবা ফোন দেখবেন না। চোখের রেস্ট (Rest) দিন। সারাদিন ল্যাপটপে কাজ করার জন্য চোখে চাপ পরে। তাই কাজ শেষে আর ফোন ঘাঁটবে না। টিভিও দেখবেন না। ঘর অন্ধকার করে, চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিন। তা না হলে খুব শীঘ্রই চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
চেয়ারে বসে কাজ করুন। অনেকেই বিছানায় (Bed) বসে অফিসের কাজ করেন। এই অভ্যেস মোটেও ভালো নয়। এতে কাজ ধীরে হয়। তাই সকালে উঠে শিফট (Shift Time) টাইমের আগে স্নান সেরে কাজে বসুন। দেখবেন আপনার কাজ তাড়াতাড়ি শেষ হবে।