যেসময় বেড়ালের বিয়ে দিতে রাজা জমিদার ও ব্যবসায়ীরা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করতেন সেযুগে মতিলালের মত মানুষ সমাজ সংস্কারের জন্য অকাতরে দান করেছেন। স্কুল-কলেজ থেকে চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নতির জন্য জনহিতকর নানা কাজ করেছেন কিন্তু ইতিহাস রামমোহন দ্বারকানাথ বিদ্যাসাগরকে মনে রাখলেও ভুলে গেছে মতিলাল শীলকে!
' যেদিন ভালবাসা, ক্ষমতার লোভকে হরিয়ে দেবে, সেদিন এই পৃথিবীতে শান্তি ফিরে আসবে।" আর তিনি মনে করতেন, "চোখের বদলে চোখ, সারা বিশ্বকে অন্ধ করে দেবে।' দোসরা অক্টোবর তাঁর ১৫২ তম জন্মদিবস।
মাত্র ন'বছর বয়সে সংস্কৃত কলেজে ভর্তি হয়েছিল ঈশ্বর। বড়বাজারের বাড়ি থেকে সে পিতা ঠাকুরদাসের সাথে পটলডাঙার কলেজ যেত। ছুটির পর বেলা চারটার সময় আবার তাঁর সাথেই বাড়ি ফিরত। প্রথমে কিছুদিন সে পিতার সাথে গেলেও কিছুদিন পর থেকে সে একা একাই কলেজ যাতায়াত শুরু করে।
যে বাড়িতে ঠাকুর তাঁর মর্তলীলা সংবরণ করেছিলেন কাশীপুরের সেই ভাড়া বাড়িতে স্বামী বিবেকানন্দ একদিন বলেছিলেন, ‘আমাদের প্রথম মঠ’ । রামকৃষ্ণ ভাবান্দোলন সেখানে ঠাকুরকে কেন্দ্র করেই দানা বেঁধেছিল। পরে বরাহনগর, আলমবাজার হয়ে তা বেলুড়ে পৌঁছায়। এই ছিল বেলুড় মঠ প্রতিষ্ঠার সূচনালগ্নের গল্প।
হেমচন্দ্র যখন স্বামী বিবেকানন্দকে ক্রিকেট খেলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তখন সেভাবে তিনি এই খেলা সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। বিপ্লবী হেমচন্দ্র ঘোষের কথায় রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। হেমচন্দ্রের তত্বাবধানে স্বামী বিবেকানন্দ বেশকিছুদিন অনুশীলন করে ক্রিকেট খেলাটা শিখে নেন।
নেতাজি (Netaji Subhash Chandra Bose) মানে শুধু একটা মানুষ নয়, একটা দর্শন। এমন এক মানুষের দর্শন যার অন্তর্ধানকে আজও মেনে নিতে পারেনি কোটি কোটি মানুষ। আজও তাঁকে নিয়ে ঘনীভূত হয় রহস্যের বেড়াজাল। তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনা বিতর্কের (Death Mystry of Netaji Subhash Chandra Bose) পরও বর্তমান সময়ের মানুষ তাঁকে খুঁজে-ফেরে। জানতে চায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কথা। পড়ার টেবিলে উপুড় করে চলে বিশ্লেষণ- কোথায় গেলেন তিনি, কী হল তাঁর পরিণতি। স্বাধীনতার অর্ধশতক পার করেও ভারতবাসীর চোখে আজও সেরা বীরের নাম নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। তাঁর ফেলে যাওয়া এমনকিছু কথা এবং দর্শন যা আজও উদ্বুদ্ধ করে দেশবাসীকে।