Indian Achievers

কোমারাম ভীম ছিলেন হায়দরাবাদে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মাথা তোলা এক ব্যক্তি। গোন্ডা আদিবাসী সম্প্রদায়ের কোমারাম ভীম ছিলেন চারিত্রিকভাবে প্রচণ্ড দৃঢ়চেতা এবং প্রতিবাদী। সেইসঙ্গে প্রবল দেশপ্রেমিক। ব্রিটিশের অধীনে থাকা করদরাজ্য নিজামের শাসনতন্ত্রের বিরুদ্ধেও গর্জে উঠেছিলেন ভীম। 

ভারতীয় মহিলাদের ইতিহাস অগ্রগামীদের দ্বারা পূর্ণ, যারা লিঙ্গ-বৈষম্য বা বাধাগুলি ভেঙেছে এবং তাঁদের অধিকারের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে এবং রাজনীতি, কলা, বিজ্ঞান, আইন প্রভৃতি ক্ষেত্রে উন্নতিসাধন করে নারী হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন৷ আসুন 'প্রথম' ভারতীয় মহিলাদের উদযাপন করা যাক, প্রথমবার উল্লেখ করা একজন ভারতীয় মহিলা কিছু অর্জন করেছেন।

বহু বছর আগে, স্বাধীনতা পরে, কিছু প্রতিষ্ঠান তৈরির প্রয়োজন হয়ে পড়ে দেশে। যে প্রতিষ্ঠানগুলি দেশের নাগরিকদের সুবিধা, অসুবিধা, চাহিদাকে নির্ধারিত করে সেই অনুযায়ী তাঁদের চাহিদাপূরণ করবে ও জনগণের কল্যাণ সাধন করবে। এমনি কিছু ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নাম গুলি জেনে নিন। 

কর্ণাটকে থেকে বেরিয়ে এখন দিল্লিমুখী স্বাধীনতা দিবসের যাত্রা। এশিয়ানেট নিউজ ও এনসিসি ক্যাডারের যৌথ উদ্যোগে যাত্রা। ১৫ অগাস্ট দিল্লির লালকেল্লায় সমাপ্তি হবে যাত্রার। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গেও একান্ত সাক্ষাৎকার হবে যাত্রার সদস্যদের। 

জাতীয় পতাকা দেখলেই এমনি এমনি হাত স্যালুট করতে উঠে যায়। আসলে আমি সেনাবাহিনীর লোক। সেনাবাহিনীর লোকেদের সামনে জাতীয় পতাকা থাকলেই হাত নিজে স্যালুট করতে উঠে যায়। এশিয়ানেট নিউজ-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এমনই কথা বললেন কমনওয়েলথ গেমসে ৬৭ কিলোর ভরোত্তোলনে সোনা জেতে জেরেমি লালরিননুঙ্গা। 

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে একটা পুরো পরিবার নিজেদের উৎসর্গ করে দিয়েছিল। ফলে স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রসঙ্গে এসে পড়লে কোনওভাবেই সিধু-কানু ভ্রাতৃদ্বয়ের কথা বাদ দেওয়া যায় না। যেভাবে এই দুই ভাই সশস্ত্র আগ্নেয়াস্ত্রে সমৃদ্ধি ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে শুধুমাত্র তীর-ধনুককে সম্বল করে লড়াই করেছিলেন তা আজও স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয় স্বাধীনতার এই লড়াইয়ে সিধু-কানুর সঙ্গে তাঁর দুই ভাই এবং বোনও শহিদ হয়েছিলেন। 

অরুণা আসফ আলি, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। ভারতকে ব্রিটিশদের অধীন থেকে মুক্ত করতে ১৯৪২ সালে মহাত্মা গান্ধী ডাক দিয়েছিলেন হয় করো না হয় মরো-র। আর সেই আন্দোলনে শরিক হয়েছিলেন অরুণা আসফ আলি। যার জন্য অগাস্ট আন্দোলনের রানি বলেও তাঁকে আজও স্মরণ করা হয়। পঞ্জাবের কালকায় এক বাঙালি পরিবারে জন্ম অরুণার। বিয়ের আগে তাঁর নাম ছিল অরুণা গঙ্গোপাধ্যায়। 

দিল্লিতে গভর্নর জেনারেল ও ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জের ওপর বোমা হামলার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রাসবিহারী বসু। ঘটনায় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতারের চেষ্টা করেন। কিন্তু, তিনি সুকৌশনে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থার নজর এড়িয়ে ১৯১৫ সালে জাপান পালিয়ে যান। তিনিই ভারতের বাইরে সিঙ্গাপুরে আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেন। পরবর্তীকালে নেতাজির হাতে আজাদ হিন্দ ফৌজ-এর পরিচালনার ভার তুলে দেন। 
 

স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রথম জাতীয় পতাকার আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল ১৯০৬ সালে কলকাতায়। উত্তর কলকাতার পারসি বাগানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। এই পতাকার নকশা করেছিলেন শচীন্দ্রপ্রসাদ বসু এবং হেমচন্দ্র কানুনগো। এই ঘটনা কলকাতা ফ্ল্যাগ নামে পরিচিত। যদিও পরে জাতীয় পতাকার নকশার আরও পরিবর্তন ঘটেছিল।

বজ্র জয়ন্তী যাত্রা দেশের বুকে স্বাধীনতা সংগ্রাম হওয়া বিভিন্ন স্থানকে ছুঁয়ে যাবে। যার মধ্যে যেমন রয়েছে কৃষি এলাকা, তেমনি রয়েছে বিভিন্ন সেনা জওয়ানদের ঘাঁটি, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এবং বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র। স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে এই বজ্র জয়ন্তী যাত্রার সূচনা হল মঙ্গলবার।