সংক্ষিপ্ত
প্রায় ৫৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত, নতুন পামবান সেতুর কাজ এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। নতুন সেতুটি পুরনোটির থেকে অনেক বেশি সুবিধে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পামবান সেতু যা তামিলনাড়ুর পামবান দ্বীপকে বা রামেশ্বরম দ্বীপ-কে ভারতের মূল ভূখণ্ডের সাথে সংযুক্ত করে, অনেকের জন্যই একটি বাকেট-লিস্ট আইটেম। পর্যটকদের পাশাপাশি, সমুদ্রের উপর সেতুটি সেই ভক্তদের জন্য তৈরি হচ্ছে যারা রামেশ্বরম মন্দির এবং ধানুশকোডিতে তীর্থযাত্রা করতে চান ৷ সেতুটির বয়স ১০০ বছরের কিছু বেশি। এটি দেশের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতুগুলির মধ্যে একটি। ৬৭০০ ফুটের কাঠামোটি ব্রিটিশরা ১৯১৪ সালে শ্রীলঙ্কার সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করার জন্য তৈরি করেছিল। সেতুটি একটি একক-লাইন, নন-ইলেকট্রিফাইড সেকশন যার উপর দিয়ে একটি ট্রেন সর্বোচ্চ ১০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে চলতে পারে।
কিন্তু নতুন পাম্বান সেতু, যাকে রেলওয়ে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিস্ময় বলে অভিহিত করে, চালু হলে এই গতি ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হবে। প্রায় ৫৬০ কোটি ব্যয়ে নির্মিত, নতুন পামবান সেতুটি এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। করোনা মহামারি না হলে গত বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেতুটি চালু হয়ে যেত।
আসুন নতুন পামবান সেতুর কিছু আকর্ষণীয় দিক জেনে নেওয়া যাক:
১. ২ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি বিদ্যমান সেতুর চেয়ে ৩ মিটার উঁচু হবে।
২. নতুন সেতুটি হবে ভারতের প্রথম ভার্টিক্যাল লিফট সামুদ্রিক সেতু যা দিয়ে বড় বড় জাহাজ চলাচল করতে পারবে। রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড দ্বারা তৈরি করা সেতু বিভাগের ভার্টিকাল লিফট হবে ২২ মিটার।
৩. রেলওয়ে ঘোষণা করেছে যে নতুন সেতুটি, ১০০ বছরেরও বেশি পুরনো সেতুর তুলনায় আরও উন্নত এবং প্রযুক্তিগতভাবে শক্তিশালী হবে।
৪. যে ট্রেনগুলি, যেগুলি বর্তমানে মাত্র ১০ কিমি প্রতি ঘন্টা সর্বোচ্চ গতিতে চলাচল করে, তারা নতুন সেতুতে ৮০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে দুই কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম হবে।
৫. এছাড়াও, নতুন সেতুটিতে একটি ডাবল লাইন রেলপথ থাকবে যা বিদ্যুতায়িত হবে এবং মালবাহী ট্রেনগুলিকেও ধারণ করতে সক্ষম হবে।
নতুন পামবান সেতুর ইনচার্জ এবং ডিভিশনাল জেনারেল হৃদয়েশ কুমার বলেন, "বর্তমান সেতুর কাঠামোর মোট দৈর্ঘ্য ২০৫৮ মিটার যার মধ্যে ১৪৬টি স্টিলের গার্ডার রয়েছে। এখানে ১২.২০ মিটারের ১৪৫টি স্প্যান এবং একটি নেভিগেশনাল স্প্যান রয়েছে। ৬১মি. ন্যাভিগেশনাল স্প্যানটি রেলপথ ইঞ্জিনিয়ার উইলিয়াম শেরজারের (যিনি এটি উদ্ভাবন করেছিলেন) নাম অনুসারে এটি শেরজার রোলিং লিফট স্প্যান নামেও পরিচিত।" তিনি আরও জানান, "উচ্চ জোয়ারের স্তর এবং গার্ডারের নীচের মধ্যে মাত্র ১.৫ মিটার ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স পাওয়া যায় যার ফলে গার্ডারগুলিতে সমুদ্রের জল ছড়িয়ে পড়ে৷ তুলনায় নতুন সেতুটিতে ১৮.৩ মিটারের ১০০টি স্প্যান এবং ৬৩ মিটার একটি নেভিগেশন স্প্যান থাকবে৷ এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২২ মিটার উপরে নেভিগেশনাল এয়ার ক্লিয়ারেন্স প্রদান করবে"।
আরও পড়ুন- Durga Puja: ১৩ সেমি স্টোন চিপসের দুর্গা ঠাকুর বানিয়ে তাক লাগাল বাঁকুড়ার ইঞ্জিনীয়ারিংয়ের ছাত্র
আরও পড়ুন- পাটের আঁশ দিয়েও তৈরি করা যায় রেসিং কার, গোটা বিশ্বকে চমকে দিলেন এই বাঙালি ছাত্ররা
আরও পড়ুন- পথ দেখাচ্ছে 'ফুচকাwala', নতুন ভোরের খোঁজে ইঞ্জিনিয়ার ভাই-বোন