সংক্ষিপ্ত

এবারের লোকসভা নির্বাচনে অন্যতম ইস্যু হতে পারে ভারত-চিন টক্কর। চিনের পক্ষ থেকে ক্রমাগত আগ্রাসন চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পাল্টা ভারতের পক্ষ থেকে কড়া পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।

'ভারতের জমি ক্রমশঃ দখল করে নিচ্ছে চিন। গত ৫ বছরে ভারতের অনেক জমিই চিনের দখলে চলে গিয়েছে। লাদাখের মানুষ ১,৫০,০০০ বর্গ কিলোমিটার জমির দখল হারিয়েছেন।' এমনই দাবি করলেন লাদাখের আন্দোলনকারী সোনম ওয়াংচুক। তিনি চিন সীমান্তে মিছিল করে যাওয়ার ডাক দিয়েছেন। এই মিছিলে স্থানীয় যাযাবর সম্প্রদায়ের নেতারাও থাকবেন। তাঁরা ভারত-চিন সীমান্তে কতদূর পর্যন্ত গবাদি পশু চরাতে যেতে পারতেন এবং এখন সেই জায়গা এখন কীভাবে চিনের দখলে চলে গিয়েছে, সেটা দেখিয়ে দেবেন। কয়েক বছর আগে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষ দেখা গিয়েছে। অনেকদিন ধরেই চিন সেনা ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছ। এবার সোনম এই অভিযোগ করায় বিষয়টি গুরুতর হয়ে উঠেছে।

পশমিনা মিছিল নিয়ে উত্তেজনা

সোনমের ডাকে 'পশমিনা মিছিল' শুরু হওয়ার আগেই লাদাখে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সোনমের দাবি, তাঁর সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেওয়া যুব নেতারা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানালেও, তাঁদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। এই আন্দোলনে যোগ দেওয়া সঙ্গীতশিল্পীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। আন্দোলন বন্ধ করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে, ব্যারিকেড করে আন্দোলনকারীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে, এমনকী, স্মোক গ্রেনেডও ব্যবহার করা হচ্ছে। সোনম আরও বলেছেন, ‘লে এখন যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। প্রশাসনের মনোভাবে মনে হচ্ছে ওরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে অশান্ত করে তুলতে চাইছে। তারপর লাদাখের মানুষকে দেশ-বিরোধী আখ্যা দেওয়া হবে। সরকার শুধু লাদাখে ভোট এবং খনি লবি নিয়েই ভাবছে।’

 

 

রবিবার 'পশমিনা মিছিল'

'পশমিনা মিছিল' রোখার জন্য কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। লে-তে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও মিছিল করার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর সোনম ও তাঁর সঙ্গীরা। ১৪৪ ধারা জারি করায় প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করেছেন সোনম।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

আরও পড়ুন-

লাদাখের গণতন্ত্র -বাস্তুতন্ত্র নিয়ে কথা বলায় গৃহবন্দি করা হয়েছে, ভিডিও করে অভিযোগ সোনম ওয়াংচুকের

শেখার জন্য কোনও স্কুল বা শিক্ষকের দরকার নেই, প্রকৃতিই আমাদের জীবনের সেরা শিক্ষা দেয়- সোনম ওয়াংচুক

চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে পূর্ব লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা রাজনাথ সিং-এর