আদানি ইস্যুতে মুখ খুললেন নির্মলা সীতারমণ, বললেন - বিশ্বের সামনে ভারতের ইমেজ নষ্ট হবে না

আদানিদের কারণে বিশ্বের সামনে ভারতের ইমেজ নষ্ট হবে না। শনিবার তেমনই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তিনি বলেছেন, আদানি গ্রুপের ২০ হাজার কোটি টাকার এফপিও (FPO) প্রত্যাহার করার সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের জন্য ভারতের অর্থনৈতিক চিত্র তেমনভাবে প্রভাবিত হবে না। অর্থমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, গত দুই দিনে বৈদেশিক রিজার্ভে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে।

মুম্বইতে একটি অনুষ্ঠানে নির্মলা সীতারমণ বলেন,'আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির মূলনীতি বা আমাদের অর্থনীতির চিত্র, যারা কোনটাই প্রভাবিত হয়নি। হ্যাঁ FPO বা ফলো অন পাবলিক অফার আসে। এবং এফআইআই বা বিদেশী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বেরিয়ে আসে।'মন্ত্রী বলেছিলেন বলেছেন যে প্রতিটি বাজেরে অস্থিরতা রযেছে তাবে গত কয়েক দিনের বৃদ্ধি এই সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করে। যে ভারত ও অন্তনির্হিত শত্তি উভয় উপলব্ধি অক্ষত। আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে একটি বিস্তৃত প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন, দেশের স্বাধীন আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রকরা দিকটি খতিয়ে দেখবে। তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজারের নজরদারী সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়ার কাছে বাজেরের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার উপায় রয়েছে। তিনি আরও বলেন সেবি বাজার ও বাজারগুলিকে প্রাইম কন্ডিশনে নিয়ন্ত্রিত রাখার জন্য সেবি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে বলেও আশাবাদী তিনি।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া এই বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি মনে করিয়ে দেন শুক্রবার আরবিআই একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ব্যাঙ্কিং সেক্টর স্থিতিশীল রয়েছে। প্রায় ১০ দিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে কর্পোরেট গভর্ন্যান্স ফ্রন্টে বেশ কয়েকটি অভিযোগ করেছে। যদিও আদানি গ্রুপ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সংস্থার দাবি এই রিপোর্টের মাধ্যমে ভারতকে অপমান করার চেষ্টা করা হয়েছে। অর্থসচিব টিভি সোমনাথন শনিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন, এখন স্পষ্ট ভারতের এটি সামস্টিক অর্থনৈতিক শর্তাবলী ও ভারতের সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির স্থিতিশীলতার পরিপ্রেক্ষিতে।

ভোডাফোন আইডিয়ায় বকেয়া বকেয়াকে ইক্যুইটিতে রূপান্তর করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে, সোমানাথন বলেছেন যে লেনদেনটি সমস্ত টেলিকোসের জন্য একটি প্যাকেজ হিসাবে করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারি শেয়ার বিনিয়োগ ও পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের (ডিআইপিএএম) হাতে থাকবে যেখানে শেয়ারটি পাবলিক শেয়ারহোল্ডার হিসেবে বিবেচিত হবে।