সংক্ষিপ্ত
শুক্রবার গুজরাটের ভোটের প্রচারে গিয়ে ২০০২ সালের গোধরা হিংসার কথা উল্লেখ করে কংগ্রেসকে বিঁধলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পাশাপাশি বিজেপি গুজরাটে চিরস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
গুজরাট ভোটের আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে আক্রমণ ওয়েসির। শুক্রবার ভোটের প্রচারে গোধরাকাণ্ডের প্রসঙ্গে তোলায় ফের একবার এআইমিম প্রধানের নিশানায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তির সিদ্ধান্তের কথা তুলে আসাদউদ্দিন ওয়েসি বলে অমিত শাহ কোন শিক্ষার কথা বলছেন? তিনি আরও বলেন, 'আপনি বিলকিসের ৩ বছরের শিশুকন্যার হত্যাকারীদের মুক্তি দিয়েছেন। আপনি কোন শিক্ষার কথা বলছেন?' শুক্রবার আমেদাবাদের জনসভায় দাঁড়িইয়তে প্রকাশ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা দেন ওয়েসি।
শুক্রবার গুজরাটের ভোটের প্রচারে গিয়ে ২০০২ সালের গোধরা হিংসার কথা উল্লেখ করে কংগ্রেসকে বিঁধলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পাশাপাশি বিজেপি গুজরাটে চিরস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে বলেও দাবি করেন তিনি। অমিত শাহের কথায়, 'কংগ্রেসের মদতেই দুষ্কৃতীদের বারবারন্ত হয়েছিল। ২০০২ সালে সমাজ বিরোধীদের উচিত শিক্ষা দিয়েছিল সরকার।' অমিত শাহের মন্তব্যের জবাবে নির্বাচনী প্রচার সভায় আসাউদ্দিন ওয়েসি বলেন,'আপনি কি দিল্লি হিংসা থেকেও কিছু শিখতে পারেননি?' প্রকাশ্যেই হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন,'মনে রাখবেন কুর্সি সকলের থেকে ছিনিয়ে নেওয়া যায়। ক্ষমতার দম্ভে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন উচিত শিক্ষা।' পরে তিনি বিলকিস প্রসঙ্গ টেনে আরও বলেন,''আপনি বিলকিসের ৩ বছরের শিশুকন্যার হত্যাকারীদের মুক্তি দিয়েছেন। আপনি কোন শিক্ষার কথা বলছেন?'
প্রসঙ্গত, দেশের ৭৬ তম সব স্বাধীনতা দিবসের দিন বিলকিস বানো-কাণ্ডে দোষীসাব্যস্ত ১১ জন আসামীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাত সরকার। সিবিআই-এর মতে 'বিরল থেকে বিরলতম' আখ্যাপ্রাপ্ত অপরাধের জন্য যেখানে দোষীদের যাবজ্জীবন সাজার রায় দিয়েছিল সিবিআই-এর বিশেষ আদালত সেখানে কোন যুক্তিতে ১১ জনকেই মুক্তির সিদ্ধান্ত নিল গুজরাত সরকার তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
মঙ্গল সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া আবেদনপত্রে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মিত্র বলেছেন, বিলকিস বানো-কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জন অপরাধীকে মুক্তি দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত গুজরাত সরকার নিয়েছে তা পুণরায় খতিয়ে দেখুক আদালত। রাজ্যের হাতে থাকা ক্ষমতার যেন অপপ্রয়োগ না হয়।
গত ১৫ অগাস্ট বিলকিস বানোর ধর্ষনের অভিযোগে ১১ সাজাপ্রাপ্তকে জামিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাট সরকার। জেলের বাইরে ধর্ষকদের ফুল মালা দিয়ে বরণ করার দৃশ্য দেখা যায়। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। সারা দেশ জুড়ে ওঠে বিতর্কের ঝড়। এই পরিস্থিতিতে গোধরার বিধায়ক চন্দ্রসিংহ রাউলজি বলেছিলেন 'ওরা সবাই ব্রাহ্মণ। আর ব্রাহ্মণদের সংস্কার থাকে। ওদের কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।' এই মন্তব্য ঘিরে নতুন করে দানা বাঁধে বিতর্ক। কিন্তু এত ঘটনা এত বিতর্কের পরও গোধরা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হলেন ধর্ষকদের পাশে দাঁড়ানো বিধায়কই।
আরও পড়ুন -
বড়সড় নাশকতার ছক ফাঁস, জম্মু কাশ্মীরে যাত্রীবাহী বাস থেকে উদ্ধার শক্তিশালী বিস্ফোরক
ভারত জোড়ো যাত্রা থেকে উঠেছে পাকিস্তান জিন্দাবাদ শ্লোগান, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপির