সংক্ষিপ্ত
প্রেম দিবসে গরু আলিঙ্গন দিবসের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে পিছু হাঁটল সরকার।
'গরু আলিঙ্গন দিবস' ভ্যালেন্টাই দিবসের দিন এই দিনটি পালন করার ডাক দিয়েও পিছিয়ে গেল ভারতের পশু কল্যাণ বোর্ড। শুক্রবার সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয় নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছে। পাশাপাশি সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি যে গরু আলিঙ্গন দিবসের ডাক দেওয়া হয়েছে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পুরুষোত্তম রুপালা বলেছিলেন ১৪ ফেব্রুয়ারি গরু আলিঙ্গন দিবস হিসেবে পলন করা হবে। দেশের সাধারণ মানুষ এই দিনটিতে বেশি সাড়া দেবেন বলেও আশা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। ১৪ ফেব্রুয়ারি গোটা বিশ্বের সঙ্গে এই দেশেও পালন করা হয় ভ্যালেন্টাইন ডে।
এদিন বোর্টের সেক্রেটারি এসকে দত্ত একটি নোটিশ করেন। 'সক্ষম কর্তৃপক্ষ ও মৎস, পশুপালন, দুগ্ধজাত মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩এ গরু আলিঙ্গন দিবসের যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তা ভারতের পশু কল্যাণ বোর্ড প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।' সংস্থার ওয়েবসাইটেও এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
এটাই প্রথমবার যখন AWBI দেশের গরু প্রেমিদের সঙ্গে গরু আলিঙ্গন দিবস উদযাপন করতে চেয়েছিল। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে পিছু হাঁটতে হল সংস্থাকে। তবে আগেই বোর্ডের পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল, তারা পাশ্চাত্যের সংস্কৃতির বিরোধী। পাশ্চাত্য সংস্কৃতির কারণে দেশের প্রাচীন প্রথাগুলি হারিয়ে যাচ্ছে। বৈদিক প্রথাগুলি মানুষ ভুলতে বসেছে।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রী পুরুষোত্তম রুপালা বলেছিলেন ১৪ ফেব্রুয়ারি যে গরু আলিঙ্গন দিবসের ডাক দেওয়া হয়েছে তাতে যদি দেশের সাধারণ মানুষ সাড়া দেয় তাহলে সেটা খুবই ভাল হবে। ১৪ ফেব্রুয়ারি এই দিনটি বেছে নেওয়ার জন্য বিশেষ কোনও কারণ নেই। তিনি বলেছিলেন এই দেশে গরু পুজো করা হয়। ভারতীয় সমাজে গরুকে শ্রদ্ধা করা হয়। তাই গরু আলিঙ্গনের মধ্যে তেমন কোনও সমস্যা নেই। তাই দেশের মানুষ এই আবেদনে সাড়া দেবেন বলেও আশা করেছিলেন তিনি। কিন্তু হল হিতেবিপরীত।
তবে মন্ত্রী আরও বলেছেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালবাসার দিন। সেই দিন যদি কোনও মানুষ গরুকে ভালবাসে, স্মরণ করে তাহলে ক্ষতি নেই। তবে এই বিষয়ে কেউ যদি কটূক্তি করে তাহলে একদমই রেগে যাওয়া উচিৎ নয়।
পশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ আইন ১৯৬০এর A ধারার অধীনে ১৯৬২ সালে এই বোর্ট প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। এই বোর্ডের মূল কাজই হল পশুকল্য়াণ সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে পরামর্শ দেওয়া। পশু কল্যাণ আইন সম্পর্কিত বিষয়গুলির ওপর নজর রাখা।
আরও পড়ুনঃ
চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুখবর! চলতি বছর হতে পারে টেট পরীক্ষা, ফল প্রকাশের পর বললেন গৌতম পাল
নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছিল কার কথায়? অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ নাম জানাতে হবে সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে