সংক্ষিপ্ত
আন্তর্জাতিক খেতাব পাওয়ার পর বিয়জ দাসমান্না সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বার্তা দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, বিশেষ এই সম্মান পাওয়ায় এই সংরক্ষিত এলাকার সামনে যে হুমকিগুলি ছিল সেগুলি দূর হল। কারণ এখন আর এই পার্কের এলাকায় রাস্তা ও অন্যান্য পরিকাঠামোগত কাজ করা যাবে না। তিনি আরও বলেছেন, এই কাজের স্বীকৃতির জন্য তাঁর পাশে সর্বদা ছিল হরিয়ানা সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার।
এক অসাধারণ প্রচেষ্টা। দিনের পর রুক্ষ পাথুরে জমিতে সবুজ ফিরিয়ে আনার। আর তাতেই সফল হলে 'আই অ্যাম গুরুগাঁও' ( I Am Gurgaon ) নামের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সংস্থার প্রধান বিজয় দাসমান্না (Vijay Dashmanna) জানিয়েছেন গত ১০ বছর হরিয়ানা (Haryana) সরকারের সহযোগিতায় এই প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। তৈরি হয়েছে আরাবল্লি বায়োডার্ভাসিটি পার্ক (Aravali Biodiversity Park)। এই পার্ক তৈরিতে মূলত জোর দেওয়া হয়েছে আরাবল্লির হারিয়ে যাওয়া জঙ্গলকে (Aravali Forest) ফিরিয়ে আনার। তাই এই বায়োডার্ভাসিটি পার্কে মূলত গুরুত্ব পেয়েছে, আরাবল্লির হারিয়ে যাওয়া গাছগুলি। সবুজ ফিরিয়ে আসান জয়যাত্রা এখানেই শেষ নয়। আরাবল্লি বায়োডার্ভাসিটি পার্ক পেয়েছে আন্তর্জাতিক OECM (Other effective area-based conservatio measures) খেতাব। এটি হল এমন এলাকার জন্য একটি সংরক্ষণ উপাধি যা এলাকার বাইরের জীববৈচিত্র্যের অন্য একটি স্থানে সংরক্ষণ করার। এটি দেয় UCN।
আন্তর্জাতিক খেতাব পাওয়ার পর বিয়জ দাসমান্না সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বার্তা দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, বিশেষ এই সম্মান পাওয়ায় এই সংরক্ষিত এলাকার সামনে যে হুমকিগুলি ছিল সেগুলি দূর হল। কারণ এখন আর এই পার্কের এলাকায় রাস্তা ও অন্যান্য পরিকাঠামোগত কাজ করা যাবে না। তিনি আরও বলেছেন, এই কাজের স্বীকৃতির জন্য তাঁর পাশে সর্বদা ছিল হরিয়ানা সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার।
হরিয়ানা পুরসভার ৩৮০ একর জমিতে তৈরি হয়েছে আরাবল্লি বায়োডার্ভাসিটি পার্ক। গত ১০ বছর ধরে এই পার্ক তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে। এখানে প্রায় ১ লক্ষের বেশি গাছ লাগান হয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশ ২০০ প্রজাতির গাছ আরাবল্লির জঙ্গলে দেখা যেত। সেগুলিকেই ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। পাশাপাশি কিছু বিদেশী গাছও লাগান হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রধান বিজয় দাসমান্নার কথায় সালার জঙ্গল, সালাই কা জঙ্গল- এভাবে ভাগ করে করে তৈরি করা হয়েছে বনসৃজন। প্রথমদিকে স্বেচ্ছাসেবি সংস্থার কর্মীরা চারা রোপণের কাজ করত। কিন্তু পরবর্তীকালে স্কুলের পড়ুয়াদেরও ডেকে নেওয়া হয়েছিল এই সবুজায়নের যুদ্ধে। আলাবল্লি পার্কে তৈরি করা হয়েছে ঘাসের জঙ্গলও- যেখানে গুরুত্ব পেয়েছে সাবানা ঘাস। তৈরি হয়েছে ওয়াটারবডি। যা এই এলাকায় জলের চাহিদা পুরণ করতে পারে।
জঙ্গল তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফিরে এসেছে হারিয়ে যাওয়া পশুপাখিরাও। একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে দক্ষিণ হরিয়ানার আরাবল্লির জঙ্গলে প্রায় ১০ রকম স্তন্যপায়ী প্রাণীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যেত। তবে আলাবল্লি বায়োডার্ভাসিটি পার্কে ইতিমধ্যেই ফেরানো গেছে ৬ রকম প্রাণী। সেগুলি হল শিয়াল, বনবিড়াল, মঙ্গুস, সিভেট। দেখতে পাওয়া যায় কাঠবিড়ানি, ইঁদুর, ফ্লাইং ফক্স। ২০২০ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী আরাবল্লি পার্কে প্রায় ২০১টি পাখি ছিল। প্রকৃতির নিয়মেই বর্তমানে পাখির সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গেছে।
তবে এখন এই পার্কের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আই অ্যাম গুরুগাঁও-র হাত থেকে চলে গেছে মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারণ সংস্থা হিরোকর্পের হাতে। আগামী ১০ বছর এই কর্পোরেট সংস্থার হাতেই থাকবে পার্কের দায়িত্ব।। তবে গত ১০ বছর এই পার্ক তৈরিতে সাহায্য করেছে প্রায় ৫০টি স্কুলের পড়ুয়া ও স্বেচ্ছাসেবীরা।
বিয়ে মানেই হিংসা নয়, পুরুষ মানেই ধর্ষক নয়- রাজ্যসভায় বললেন স্মৃতি ইরানি
Delhi Court: দিল্লির দাঙ্গার অন্যতম ষড়যন্ত্রী উমর খালিদ, সাক্ষ্য প্রমাণ দিয়ে বললেন আইনজীবি
Rahul Gandhi Vs S Jaishankar: চিন ও পাকিস্তান নিয়ে রাহুলের মন্তব্য, পাল্টা কটাক্ষ বিদেশমন্ত্রীর