সংক্ষিপ্ত
আরও ২৫ দিন সময় লাগবে মেরামতিতে
অসমের তেল কূপের পরিস্থিতি দেখছেন বিশেষজ্ঞরা
৩ মাস সময়ও লাগতে পারে
নাশকতা কিনা তা জানতে প্রয়োজন তদন্তের
আগুন আয়ত্বে আনলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। কী করে গ্যাস লিক আর কূপের আগুন বন্ধ করা যায় তাই নিয়ে দফায় দফায় চলছে বৈঠক। সিঙ্গাপুর থেকে আসা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলছেন ওএনজিসি-র বিশেষজ্ঞ দল ও ওএনজিসির এক্সিকুউটিভ ডিরেক্টর ভিপি মহেশ্বর। তাঁদের মতে বাঘজানের তেলকূপের লিকেজ মেরামতি করে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরিয়ে আনতে এখনও ২০-২৫ দিন সময় লাগবে।
কিন্তু কেন এতদিন সময় লাগবে? তারও ব্যখ্যা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত ২৭ মে থেকে ওয়েল ইন্ডির লিমিটেডের এই তেল কূপ থেকে গ্যাস লিক করতে থাকে পরিস্থিতি ১৪ দিন ধরে গ্যাস লিক করার সময় গত ৯ জুন কূপে আগুন লেগে যায়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে কূপ থেকে যখন গ্যাস ও তেল নিঃসরণের কাজ করছিলেন তখনই আগুন লাগে। কূপের এই আগুন ইতিমধ্যেই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
বাঘজান তেল কূপের গা ঘেঁসেই রয়েছে ডিব্রু সাইখোয়া ন্যাশানাল পার্ক আর সংলগ্ন মাগুরি মোটাপাং বিল এলাকা। যা জীববৈচিত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ হটস্পট হিসেবেই পরিচিত। স্থানীয়দের কথায় এখনও প্রতিবছরই প্রচুর পর্যটক আসেন। এখানে ৩৬ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণি রয়েছে। আর ৩৮২ প্রজাতির পাখি দেখতে পাওয়া যায়। মাগুরি বিলের কিছুটা অংশ পাখিদের জন্য সংরক্ষিত। এভিয়ান ও জলজপ্রাণিদের পছন্দের তালিকার মধ্যেও পড়ে। আগুনে বন্য প্রাণি,পাখি আর জলজ প্রাণির ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি এলাকার বাস্তুতন্ত্রেরও ভারসাম্য নষ্ট হবে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিশেষজ্ঞদের কথায় এই কূপের বিস্ফোরণ খুবই নিম্মমানের। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, যে সব জায়গায় দিয়ে ক্রমাগত গ্যাস বার হয়ে যাচ্ছে সেই সব জায়গাগুলি মেরামতি করতে সময় লাগবে। তারজন্য প্রয়োজন প্রচুর ভারী যন্ত্রপাতি। যেগুলি অন্য জায়গা থেকে আনতে হবে। পাশাপাশি প্রয়োজন প্রচুর পরিমান জল। সব ব্যবস্থা করতে কমপক্ষে ২০ -২৫ দিন সময় লাগবে বলে জানান হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে বাঘযানের তেল কূপ থেকে গ্যাস লিক হওয়া ও আগুন লেগে যাওয়া নিছকই একটি দুর্ঘটনা। তবে কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, কেনইবা ঘটল, তদন্ত করা হলেই তা স্পষ্ট হবে।
করোনা নিয়ে কথায় এল দেশের 'ডিএনএ' প্রসঙ্গ, রাহুল গান্ধী কী বললেন মার্কিন অধ্যাপককে
হাতি মাতা ও শাবকের বাধা উপেক্ষা করে পথ চলা, ভাইরাল সেই ভিডিও দেখুন আপনিও ...
বিশেষজ্ঞ দলের পক্ষ থেকে আরও জানান হয়েছে, যেসব জায়গা দিয়ে গ্যাস লিক হচ্ছে সেই সব জায়গা পরিষ্কার করে টুপির জাতীয় জিনিস দিয়ে আটকে দেওয়া হবে। সেই টুপির মত জিনিষ তৈরি করতে হবে। আরও জানান হয়েছে, যদি ক্যাপিং সম্ভব না হয় তাহল ড্রিলের মাধ্যমে গর্ত করে মাটির প্রায় ৩.৯ কিলোমিটার নিচে যেতে হবে। যেখান দিয়ে গ্য়াস বার হচ্ছিল সেই স্থানগুলি সিমেন্টের প্ল্যাগ ব্যবহার করে আটকে দিতে হবে এই প্রক্রিয়ায় সমস্যা সমাধান করতে প্রায় তিন মাস সময় লাগবে।
পিপিই-র দাম ১লক্ষ ৪০ হাজার টাকা, হাসপাতালের বিল দেখেই চক্ষুচড়ক গাছে করোনা রোগীর ...
২০০৬ সালে একই ঘটনা ঘটেছিল অসমের ডিব্রুগড়ের ডিকোমে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ৪৫ দিন সময় লেগেছিল। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে গ্যাস লিকের ফলে যে পরিবেশের ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কিন্তু এটি কোনও স্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারবে না।