সংক্ষিপ্ত
- মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে টানাপোড়েন চলছে বিজেপি ও শিবসেনার
- এবার কাশ্মীরে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের যেতে দেওয়া নিয়ে বিজেপিকে বিধল শিবসেনা
- একে ভারতের স্বাধীনতায় সরাসরি আঘাত বলেছে তারা
- শিবসেনা মুখপত্র সামনা-তে অমিত শাহ-এর জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে
মহারাষ্ট্রে সরকার গড়া নিয়ে তীব্র টানাপোড়েন চলছে দুই এনডিএ শরিক বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে। বিরোধ প্রধানত মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে। তারমধ্য়েই কাশ্মীরে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সফরে আসার অনুমতি দেওয়া নিয়ে এবার সরাসরি মোদী সরকারকে নিশানা করল শিবসেনা। একে ভারতের স্বাধীনতায় সরাসরি আঘাত হিসেবেই দেখছে তারা। দেবেন্দ্র ফড়নবিশ উষ্মা প্রকাশ করার পরেও তাদের মুখপত্রকে ব্যবহার করে বিজেপি-র সমালোচনা করতে ছাড়ছে না তাদের অন্যতম পুরোনো শরিক।
আরো পড়ুন - দড়ি টানাটানির কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার, উদ্ধবকে ১৫ নির্দলের হুমকি দিলেন ফড়নবিশ
মঙ্গলবারই ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২৮ জন সাংসদ কাশ্মীর উপত্যকায় এসেছিলেন। উপত্যকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর কাশ্মীরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। এই নিয়ে বিরোধী দলগুলি মোদী সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে। প্রত্যেক দলেরই বক্তব্য, যদি বিদেসী সাংসদদের কাশ্মীরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে, তাহলে ভারতীয় রাজনবৈতিক দলের প্রতিনিদিদের কেন বাধা দেওয়া হচ্ছে? এইবার এই একই প্রশ্ন তোলা হল শিবসেনা মুখপত্র 'সামনা'-র সম্পাদকীয়তে।
আরও পড়ুন - ৫০-৫০ রফাসূত্রের কথাই হয়নি, মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা সরকার গঠন বিশ বাঁও জলে
এদিনের সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয়। সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। তার জন্য নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ-কে নিয়ে শিবসেনা গর্বিত। কিন্তু, কাশ্মীরে যদি সব ঠিকই রয়েছে, তাহলে কাশ্মীরে কেন বহিরাগত প্রতিনিধিদের পাঠানো হল? কাশ্মীর কি তালে ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয় নয়? কাশ্মীর বিষয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের হস্তক্ষেপ চাইছে ন, কিন্তু সেখানে তাদের প্রতিনিধিদের যেতে দিচ্ছে মোদী সরকার। বিদেশিদের কাশ্মীরে এবাবে যেতে দেওয়াকে স্বাধীনতায় আঘাত বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন - বাঘ কখনও ঘাস খায় না, শিবসেনাকে কংগ্রেসের বার্তা নিয়ে কটাক্ষ বিজেপির
এমনকী ভারতীয় সাংসদদেরক যেতে না দিয়ে বিদেশি সাংসদদের কীভাবে কাশ্মীরে যেতে দেওয়া হল তাই নিয়ে সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-এর জবাদিহি চেয়েছে সামনা পত্রিকা। এতে করে বিরোধীদেরই প্রশ্ন তোলার সুযোগ করে দেওয়া হল বলে দাবি করেছে তারা।