সংক্ষিপ্ত

  • অমিতাভ বচ্চন ও অক্ষয় কুমারকে হুমকি 
  • শ্যুটিং বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি কংগ্রেসের 
  • পাশে দাঁড়াল বিজেপি 
  • কংগ্রেসকে পাল্টা নিশানা বিজেপির 

কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মুখ না খুললে বন্ধ করে দেওয়া হবে শ্যুটিং। বলিউড স্টার অমিতাভ বচ্চন ও অক্ষয় কুমারকে রীতিমত হুমকি দিলেয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের নেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান নানাভাউ প্যাটেল। কংগ্রেসের এই হুমকির প্রতিবাদে আসরে নামে বিজেপি। দলের পক্ষ থেকে রাম কদম জিজ্ঞাসা করেছেন কংগ্রেসের এই হুমকির কারণ কী? একই সঙ্গে জানতে চাওয়া হয়েছে, অমিতাভ ও অক্ষয় কুমারের কী অপরাধ? 


কংগ্রেস নেতা নানাভাউ বলেছেন, যে ভাবে পেট্রোলের দাম বাড়চ্ছ তাতে সাধারণ মানুষ বিপদে পড়েছেন। মনমোহন সিং-এর সরকার থাকাকালীন যখন পেট্রোলের দাম বেড়েছিল তথন তো অমিতাভ ও অক্ষায় কুমারের মতো তারকারা তাঁর সরকারকে নিশানা করতে একবিন্দুও জায়গা ছাড়েননি। তখন তাঁরা টুইট করতেন। কিন্তু আজ তাঁরা নীবর। তারপরই তিনি সরাসরি অমিতাভ ও অক্ষয় কুমারকে সরাসরি হুমকি দেন। তিনি বলেন মোদী সরকারের জনবিরোধী নীতিগুলি নিয়ে তাঁরা যদি না মুখ খোলেন তাহলে তাঁদের সমস্ত শ্যুটিং বন্ধ করে দেওয়া হবে। মাহারাষ্ট্রে তাদের ছবি মুক্তিপেতেও বাধা দেওয়া হবে বলেও সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস।  


কংগ্রেস নেতার এই হুমকির রেশ ধরেই আসরে নেমেছে বিজেপি। ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা রাম কদম বলেছেন, জাতির উদ্দেশ্যে টুইট করা কী অপরাধ? সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্র করছে এমন আন্তপর্জাতিক শক্তি সক্রিয় হয়েছে। কংগ্রেস সেই শক্তিকেই সমর্থন করছে। তবে গেরুয়া শিবির সেই শক্তিকেই সতর্ক করছে বলেও দাবি করা হয়েছে তাঁর বার্তায়। গোটা দেশ তাদের সঙ্গে রয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। রাম কদম আরও বলেছেন, ইউপিএ শাসন আর এনডিএ শাসনকালে পেট্রোলের দাম বৃদ্ধি দুটি আলাদা বিষয়। আর সেই কারণেই টুইটারে দুই অভিনেতা নিজেদের মতামত প্রকাশ করেছিলেন। 

বিধানসভা ভোটের আগেই আস্থাভোট পদুচেরিতে, চরম সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস সরকার ...

'ভারত উদার হয়েছে আর অন্যেরা ভ্যাকসিন পাচ্ছে', টিকা কূটনীতি প্রশংসায় বিদেশীরা ...

কৃষক আন্দোলনের পাশে থাকার বার্তাদিয়েছিলেন পপস্টার রিহানা। কিন্তু তারপরই দেশবিরোধী প্রচারের অভিযোগ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছিলেন অক্ষয় কুমার। সেক্ষেত্রে অমিতাভ বচ্চন চুপ থাকলেও ইউপিএ জমানায় পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে তিনি সরব হয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমান সরকারের নীতি নিয়ে কিছুটা হলেও নীরব তিনি। অন্যদিকে শাসকদলের ঘনিষ্ট হিবেসেই উঠে আসে অক্ষয় কুমারের না। রাজনৈতিক মহলের ধারনা সেই কারণেই কংগ্রেস নিশানা করেছে দুই অভিনেতাকে। তারপরই তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি।