বাজেট অধিবেশনে বক্তব্য রাহুল গান্ধীর  বড় অংশ জুড়ে ছিল কেন্দ্রের নীতির সমালোচনা  চার জন দেশ চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ  রাহুলের সমালোচনা করেন অনুরাগ ঠাকুর 

নোটবন্দি থেকে শুরু করে কৃষি আইন-- বাজেট অধিবেশনে লোকসভায় বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে সবকটি ইস্যুতেই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী নিশানা করেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমরা দুজন আমাদের দুই- এই নীতির ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করছেন। রাহুল গান্ধী বলেন, দেশের মানুষ সেই পরিকল্পনাটি স্মরণ করবেন যা পরিবার পরিকল্পনার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল- সেটি ছিল হাম দো হামারা দো। একটা সময় পরিবার ও জনকল্যাণ মন্ত্রকের জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন ছিল এটি। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্যই এই বিজ্ঞাপনটি তৈরি করা হয়েছিল। আজ সেটিকেই হাতিয়ার করেন রাহুল গান্ধী। 

Scroll to load tweet…


এদিন সংসদে বক্তব্য রাখার সময় রাহুল গান্ধী বলেন হাম দো হামারো এই স্লোগানটির একটি নতুন অর্থ দিয়েছে মোদী সরকার। তিনি বলেন দেশটি চার জন মানুষ চালাচ্ছেন। এদিন তিনি অবশ্য কারও নাম উচ্চারণ করেননি। তবে তিনি বলেছেন যে চার জন দেশ চালাচ্ছেন তাঁদের সকলে চেনেন। কথা প্রসঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথাও উত্থাপন করেন। তিনি বলেন গতকাল 
অর্থাৎ বুধবার প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন বিরোধীরা কৃষি আইনের বিষয়বস্তু ও উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করছেন না। তাই তিনি ভেবেছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করা অত্যন্ত জরুরি। সেই কারণে কৃষি আইনের বিষয় বস্তু নিয়েই তিনি আলোচনা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন । রাহুল গান্ধী বলেন নতুন তিনটি কৃষি আইনের উদ্দেশ্য হল বন্ধুদের কাছে সুবিধে পৌঁছে দেওয়া। আর তাদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা।

লাদাখ থেকে সরছে চিনা সেনা, সংবাদ সংস্থা ANI-এর প্রথম ভিডিওটিতে চোখ রাখুন ...

সোশ্যাল মিডিয়াকে ভারতীয় আইনের মধ্যে আনার চেষ্টা হচ্ছে, রাজীব চন্দ্রশেখরের প্রশ্নের উত্তরে বলল কেন্দ্..

এদিন রাহুল গান্ধী বলেন অনেকেই ভাবছেন দিল্লির উপকণ্ঠে চলা কৃষকদের আন্দোলন শুধুমাত্র কৃষিজীবীমানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু আদতে তা নয়। নতুন আইনগুলির সমাজ ব্যবস্থাকে তছনছ করে দেবে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন নতুন আইনের ফলে মধ্যসত্ত্বভোগী, ছোট ব্যবসায়ী, ছোট দোকানদার একমনকি মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের মেরুদণ্ডে ভেঙে দেবে। যা ধ্বংসাত্ম প্রভাব ফেলবে এই দেশে। তিনি আরও বলেন, আন্দোলনকারী কৃষকরাই পথ দেখাচ্ছে দেশের মানুষকে। 

রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের মধ্যেই বিজেপি ও তাদের সহযোগী সাংসদরা হট্টোগোল শুরু করেদেয়। অনেকেই রাহুল গান্ধীকে হুমকি দিতে থাবে। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুহার ঠাকুর বলেন রাহুল গান্ধী বাজেট ভাষণের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। তাই বাজেটের বিষয় বস্তুর সঙ্গে তাঁর আলোচনার বিষয় বস্তুর মিল ছিল না বলেও জানিয়েছেন তিনি। রাহুল গান্ধী বাজেটের সময় দীর্ঘদিন সংসদে উপস্থিত ছিলেন না বলেও খোঁটা দিয়েছেন।