সংক্ষিপ্ত

বাজেট অধিবেশন ২০২২-এ (Budget Session 2022) লোকসভায় কংগ্রেসকে (Congress) তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) প্রসঙ্গে তুলে আনলেন জওহলাল নেহরুর (Jawaharlal Nehru) বক্তৃতার প্রসঙ্গ। 
 

সোমবার বাজেট অধিবেশন ২০২২-এ (Budget Session 2022) লোকসভায় বিরোধীদের সমস্ত জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। দেশের অর্থনীতির বেহাল দশার জন্য ঠারে ঠারে তিনি নেহরু-গান্ধী পরিবারকেই দায়ী করলেন। কংগ্রেসকে (Congress) তীব্র আক্রমণ করে, বিভিন্ন ইস্যুতে কংগ্রেসের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেন তিনি।

দেশের বর্তমান মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী টেনে আনেন ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট লালকেল্লা থেকে জওহরলাল নেহরুর (Pandit Jawaharlal Nehru) দেওয়া বক্তৃতার প্রসঙ্গও। মোদী বলেন, পণ্ডিত নেহেরু বলেছিলেন, কোরিয়া যুদ্ধের ফলে মুদ্রাস্ফীতি হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন আমেরিকাতে কোনও ঝামেলা হলেও ভারতে মুদ্রাস্ফীতি ঘটে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে তিনি হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন। 

আরও পড়ুন - নেতাজি রহস্যের এক বীজ এখনও কি রয়েছে গান্ধী পরিবারের হাতে, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছিল এই বই

আরও পড়ুন - আসছে মানববোমা, যোগী আদিত্যনাথকে টুইটে হত্যার হুমকি - সামনে এল এই 'লেডি ডনে'র নাম

আরও পড়ুন - পঞ্জাবে ভোট, রাম রহিমকে ফার্লো দিল হরিয়ানার বিজেপি সরকার - পিছনে কতটা রয়েছে রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী তোলেন ইউপিএ জমানার (UPA Govt) কথাও। নরেন্দ্র মোদী বলেন, সেই সময় ভারত দুই সংখ্যার মুদ্রাস্ফীতির মুখোমুখি হয়েছিল। ইউপিএ সরকার স্বীকার করেছিল, তারা মুদ্রাস্ফীতিতে লাগাম লাগাতে পারবে না। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেস সাংসদ পি চিদম্বরম (P Chidambaram) বর্তমানে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় অর্থনীতি নিয়ে নিবন্ধ লিখছেন। কিন্তু, ২০১২ সালে, তিনি মন্তব্য করেছিলেন, জনতা জলের বোতলের জন্য ১৫ টাকা কিংবা আইসক্রিমের জন্য ২০ টাকা খরচ করতে বিরক্ত হয়না। কিন্তু, চাল-গমের দাম ১ টাকা বাড়লেও হইচই শুরু করে দেন। 

বাজেট ২০২২-২৩ পেশ করার পর, বাজেট নিয়ে আলোচনায় রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) থেকে শুরু করে অন্যান্য কংগ্রেস নেতারা ক্রমাগত বিজেপি সরকারকে (BJP Govt) আক্রমণ করে গিয়েছে। বলা হয়েছে এই বাজেট বড়লোকদের বাজেট। এই বাজেটে কৃষক, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তদের জন্য কিছু নেই। মুদ্রাস্ফীতিতে লাগাম লাগাতে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি মোদী সরকার, এমনটাই দাবি করেছিল বিরোধীরা। এবার প্রধানমন্ত্রী মোদী সেই সব অভিযোগের জবাব দিলেন স্বয়ং পণ্ডিত নেহরুর বক্তব্যকে হাতিয়ার করে।

নির্বাচনে কংগ্রেসের রক্তক্ষরণ নিয়েও শতাব্দীপ্রাচীন দলকে আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন একের পর এক নির্বাচনে হারার পরও কংগ্রেসের অহংকারের কোনও পরিবর্তন ঘটেনি। কংগ্রেস তৃণমূল স্তর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেন তিনিয। এই কারণেই নাগাল্যান্ডে ২৪ বছর আগে, ওড়িশায় ২৭ বছর আগে, গোয়ায় ২৮ বছর আগে, পশ্চিমবঙ্গে ১৯৭২ সালে শেষবার রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল কংগ্রেস। এমনকী যে তেলেঙ্গানা সৃষ্টির কৃতিত্ব তারা নিতে চায়, সেই রাজ্যের জনগণও কংগ্রেসকে গ্রহণ করেনি।