সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও যেখানে দেখা যাচ্ছে চোলাই খাওয়ানো হচ্ছে শিশুদের ১০ থেকে ১২ বছরের ৫০ বেশি নাবালক রয়েছে সেখানে করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতেই দেশি মদ খাওয়ানো হয় শিশুদের

অতিমারী করোনা থেকে বিশ্বকে বাঁচাতে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টায় দিনরাত এক করে দিচ্ছেন দুনিয়ার তাবড় তাবড় বিজ্ঞানী ও গবেষকরা। কারণ করোনার মত মারণ ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার জন্য এখনও কোনও ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। তবে এরমধ্যেই আশার খবর শুনিয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। চলতি বছরের শেষেই বাজারে চলে আসতে পারে সেই ভ্যাকসিন। আর তা আসলে এদেশের মানুষকে বিনামূল্যেই তা দেওয়া হবে এমনও ইজ্ঞিত পাওয়া যাচ্ছে। যদিও এসব খবর থেকে অনেক দূরে রয়েছে ওড়িশার এক আদিবাসী গ্রাম। যেখানে করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা করতে শিশুদের মুখে তুলে দেওয়া হল দেশি মদ।

আরও পড়ুন: একবছর ধরে অধস্তন সহকর্মীর সঙ্গে পরকীয়া, ক্লিনটন- মনিকার সম্পর্কের কথা মনে করালেন কিউই মন্ত্রী

ওড়িশার মালকানগিরির পারসনপালি গ্রামে নাবালকরা যাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না হয় সেই জন্য দেশি মদ খাওয়ানো হয়। সেই ভিডিয়োই এখন ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে ১০-১২ বছরের পঞ্চাশেরও বেশি নাবালককে স্থানীয় দেশি মদ সালাপা খাওয়ানো হয়।

Scroll to load tweet…

পারসনপালি গ্রামের বাসিন্দারা মনে করেন যে মদ খাওয়ালে বাচ্চারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবে না। ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। উঠেছে সমালোচনার ঝড়ও। ভিডিওটিতে যাদের দেখা গেছে তাদের কেউই মাস্ক পরা ছিল না, এমনকি সামাজিক দূরত্বের বিধিও মানা হয়নি। 

আরও পড়ুন:দেশের করোনা পরিস্থিতিতে বড় সিদ্ধান্ত সরকারের, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ঘোষণা

শিশুদের এভাবে মদ খাওয়ানোর বিষয়টিতে স্তম্ভিচ চিকিৎসকরাও। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছেন, অ্যালকোহল পান করোনোভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে না। তাছাড়া সংক্রমণ চোখ, নাক এবং মুখ দিয়ে হয়। শ্বাসতন্ত্রকে কব্জা করে এই ভাইরাস। এছাড়াও, শিশুদের মদ দেওয়া একটি অপরাধ। বাচ্চাদের মদ দেওয়া প্রসঙ্গে মালকানগিরির জেলা কালেক্টর মণীশ আগরওয়াল জানান, আবগারি সুপারিনটেন্ডেন্ট সেখানে তদন্তের জন্য গেছেন। যদিও এবিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। এদিকে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে ভিডিয়োটি পুরনো।