সংক্ষিপ্ত
শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যার রেশ কাটতে না কাটতে আরও এক হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড। এবার রাজস্থানে। যৌন মিলনের সময় প্রেমিক-প্রেমিকার গায়ে আঠা ঢেলে হত্যা করল তান্ত্রিক।
আবারও এক নৃশং হত্যাকাণ্ড প্রকাশ্যে এল। এবার মূল ষড়যন্ত্রী এক তান্ত্রিক। আঠা ঢেলে হত্যা করল যৌন মিলনরত এক দম্পতিকে। তদন্তে নেমে রীতিমত হতবাক পুলিশ। গত সপ্তাহে রাজস্থানের জয়পুরের একটি জঙ্গল থেকে দম্পতির উলঙ্গ দেহ উদ্ধার হয়। তারপরই তদন্ত নামে পুলিশ। রহস্যের জট খুলতেই সামনে আসে হাড়হিম করা তথ্য। জেরায় অভিযুক্ত তান্ত্রিক হত্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছে।
বছর ৩৩ এর সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা সোনা কাভার ও ৩১ বছরের রাহুল মিনা নামে এক ব্যবসায়ীর নগ্ন দেহ উদ্ধার হয়েছিল জয়পুর সংলগ্ন বাউদি বনাঞ্চল থেকে। দুইজনের মধ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তেমনই জানিয়েছেন রাজস্থান পুলিশের অফিসার ভূপেন্দ্র সিং ও কুন্দন কুওয়ারিয়া। দম্পতির হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে তারা প্রায় ২০০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। ৫০টি জায়গায় সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করেছেন। তাতেই সামনে এসেছে ৫১ বছরের এক তান্ত্রিকের নাম। পুলিশ জানিয়েছে,তান্ত্রিকের নির্দেশেই দম্পতি জঙ্গলের মধ্যে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন। তারপর তান্ত্রিক সেই স্থানে ফিরে এসে তাদের গায়ে আঠা ঢেলে দেয়। দম্পতি যখন জুড়ে যায় তখনই তান্ত্রিক তাদের পাথর দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। পাশাপাশি ছুরি দিয়েও কোপান হয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে রাহুল ও সোনুর নধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নিজের ইচ্ছে পুরণের জন্য তারা শেষনাগ মন্দিরে আসতেন। আর সেখানেই তাদের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তান্ত্রিকের সঙ্গে। সেই তান্ত্রিক দীর্ঘ দিন ধরেই মন্দির চত্ত্বরে থাকত। রাহুল তান্ত্রিককে জানিয়েছিল তার স্ত্রীর সঙ্গে তার বনিবনা হয়নি। দাম্পত্য কলহ তাদের নিত্য সঙ্গী। সোনুও জানিয়েছিলেন তাঁর স্বামী তাঁকে কখনও খুশি করতে পারেননি। দুজনেই তান্ত্রিকের কাছে তাদের সমস্যার সমাধান চেয়েছিলেন। কিন্তু তান্ত্রিক রাহুলের স্ত্রীকে স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানিয়েদেয়। তারপর স্বামীস্ত্রীর সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। তাতে রাহুল ও সোনু তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুমকি দেয়। তারপরই তান্ত্রিক নিজের ভাবমূর্তি বজায় রাখার জন্য প্রেমিক দম্পতিকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষে।
গত ১৫ নভেম্বের রাহুল ও সোনুকে মন্দিরে আসতে বলে তান্ত্রিক। তারপর তাদের দুজনকেই বাইকে করে স্থানীয় একটি জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের সংসারে শান্তির জন্য যৌন মিলনের পরামর্শ দেয়। প্রেমিক যুগল তান্ত্রিকের পরামর্শে খোলা আকাশের নিচেই জামা কাপড় খুন সঙ্গমে রত হয়। সেই অবস্থায় তান্ত্রিক ঘটনাস্থলে ফিরে আসে। সঙ্গমরত দম্পতির গায়ে আঠা ঢেলে দেয়। তারা চিপকে গেলে পাথর দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ছুরি দিয়েও কোপায়।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী তান্ত্রিক ৫০টি আঠার টিউব কিনেছিল। পুলিশ সূত্রের খবর তান্ত্রিক ফেবিকুইকের টিউব কিনেছিল। একএকটি টিউবের দাম ছিল ১৫ টাকা। রাস্তা থেকে প্রায় তিনশো মিটার দূরে উদ্ধার হয়েছিল দম্পতির দেহ। সেখানে আঠা উদ্ধার হয়েছে। পাশাপাশি তান্ত্রিকের হাতেও আঠা লাগা অবস্থায় ছিল। রাহুলের যৌনাঙ্গও কেটে দেওয়া হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রের খবর। পুলিশ সূত্রের খবর মৃতদেহ পোড়ানোরও চেষ্টা করেছিল তান্ত্রিক। আপাতত পুলিশের জালি তান্ত্রিক।
আরও পড়ুনঃ
বুধবার আফতাবের পলিগ্রাফ টেস্ট হবে, জানুন কী ভাবে হয় এই কঠিন পরীক্ষাটি