কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কথায় মহামারিকালে অক্টোবর আর নভেম্বর মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগামী ২-৩ মাস গোটা দেশের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

করোনাভাইাসের সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে রীতিমত উদ্বোগ প্রকাশ করেছেন দেশের কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান ও নীতি আয়োগের সদস্য চিকিসক ভিকে পল। তৃতীয় তরঙ্গের মুখে দাঁড়িয়ে তিনি রীতিমত 'বিপদ ঘণ্টি' বাজিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, উৎসবের মরশুম এগিয়ে আসছে। জনগণের ঘণত্ব যদি হঠাৎ করে বেড়ে যায় তাহলে নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে পারে। আগামি তিন মাস সাবধানে থাকার পরামর্শও দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। 

Scroll to load tweet…

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কথায় মহামারিকালে অক্টোবর আর নভেম্বর মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগামী ২-৩ মাস গোটা দেশের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দুই-তিন মাস করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কোনও রাজ্যেই বাড়তে দেওয়া উচিৎ। তিনি আরও জানিয়েছেন এই সময়টা উৎসবের মরশুম। তাই এমনিতেই ভিড় বাড়ে। অন্যদিকে সময়টা ফ্লুর সময়। অনেক মানুষই তাতে আক্রান্ত হতে পারে। তাই দেশের সকল নাগরিককেই সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে বলেছেন তিনি। উৎসবে নিয়ন্ত্রণেই পারে সংক্রমণ রুখতে। 

ডাসল্ট সিস্টেমের সঙ্গে AIMএর গাঁটছড়া, আগামী দিনে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে ভারতকে

রাতারাতি কোটিপতি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ৯০০ কোটি টাকা দেখে অবাক ২ ছাত্র, বিপাকে পরিবার

central vista:আস্তাবল থেকে আধুনিক কার্যালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নতুন অফিস উদ্বোধনে কংগ্রেসকে নিশানা মোদীর

তবে এদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে সাংবাদিক সম্মেলনে তৃতীয় তরঙ্গ নিয়ে তেমন কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি। শুধু এটুকুই জানান হয়েছে উৎসবের কারণে অক্টোবর আর নভেম্বর মাসে সংক্রমণ বাড়তে পারে। কিন্তু আগেই অনুমান করা হয়েছিল যে মরামারির তৃতীয় তরঙ্গে এই সময়ই দেশে আছড়ে পড়তে পারে। 

 বিশেষজ্ঞরা আশার আলো দেখছেন করোনা টিকা কর্মসূচির অগ্রগতিতে। কারণ ইতিমধ্যেই দেশের ৬২ শতাংশ মানুষই একটি করে করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে। তাই প্রথম তরঙ্গ থেকে তৃতীয় তরঙ্গের কিছুটা হলেও পার্থক্য থাকবে বলেও আশা করা করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। অন্যদিকে দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেই ঘটনা যাতে আর না ঘটে তার জন্য তৈরি রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন সাল্পাই নিশ্চিত করে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, সামাজিক দূরত্ব, টিকাকরণের মাধ্যমেই মহামারিকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ভিকে পল বলেছেন গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারত করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষ জানে কী করে বাড়িতেই করোনা আক্রান্তের যত্ন নেওয়া সম্ভব। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী দেশের করোনা পরিস্থিতি বর্তমানে স্থিতিশীর। গত ১১ সপ্তাহে আক্রান্তের হার ৩ শতাংশের নিচে রয়েছে। কেরলের অবস্থাও উন্নত হচ্ছে। তবে কিছুটা হলেও আশঙ্কা রয়েছে মিজোরামকে নিয়ে। 

YouTube video player