সংক্ষিপ্ত

মৌসমভবন আরও জানিয়েছে, এটি উত্তর দিকে এগিয়ে যেতে পারে। দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলের কাছেকাছি পৌঁছে যাবে।

 

ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিয়েছে মিগজাউম। রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় চেন্নাই থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে। এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ক্রমশই গুরুতর ঘর্ণিঝড়ের আকার নিতে পারে। তেমনই জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ এস বালাকৃষ্ণান। তিনি বলেছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত গভীর নিম্নচাপটি রবিবার সকালে সাড়ে ৫টায় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। নাম ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। এটি আরও শক্তিশালী হয়ে পশ্চিম-মধ্যে বঙ্গোপসাগরে পৌছেতা পারে। উত্তর তামিলনাড়ু উপকূল সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছাতে পারে ৪ ডিসেম্বর দুপুরের মধ্যে।

মৌসমভবন আরও জানিয়েছে, এটি উত্তর দিকে এগিয়ে যেতে পারে। দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলের কাছেকাছি পৌঁছে যাবে। ৫ ডিসেম্বর দুপুরের মধ্যে নেলোর ও মাছিলিপত্তনমের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে। এটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিতে পারে। এটি গতিবেগ ৯০-১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। আছড়ে পড়ার সময় গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টা ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তামিলনাড়ুর সরকার চারটি জেলায় সতর্কতা জারি করেছে। জেলা গুলি হল চেন্নাই, কাঞ্চিপুরম, তিরুভাল্লুর ও চেঙ্গলপাট্টু। এই চারটি জেলায় আগামী ৪ ডিসেম্বর সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। মৌসমভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়ের কারমে তামিলনাড়ুর একাধিক জেলায় প্রবল বৃষ্টি হতে পারে। রবিবার থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। রাজ্যের একাধিক এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের তেমন কোনও প্রভাব এই রাজ্যে পড়বে না। তবে আকাশ থাকবে মেঘলা। চড়বে তাপমাত্রার পারদ। মঙ্গলবার পর্যন্ত শীতের আমেজ গায়েবই থাকেই পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গ থেকে।

ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় তাহলে মৌসমভবনে তরফে তার নাম দেওয়া হবে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। এই নামটি মায়ানমারের দেওয়া। যদিও এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে ঘূর্ণিঝড়ের কোনও নাম ঘোষণা করা হয়নি। কয়েক দিন আগেই বাংলাদেশে একটি ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছিল। সেটির নাম ছিল মেধিলি।