সংক্ষিপ্ত
যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায় একমাত্র মুসলিম (Muslim) মুখ দানিশ আজাদ আনসারি (Danish Azad Ansari)। দীর্ঘদিনের বিজেপি (BJP) সদস্য এবং মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
শুক্রবার, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিলেন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। পূর্ণ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী মিলিয়ে মোট ৫২ জনের মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন, যোগী। আর তাতে ঠাঁই হয়েছে একমাত্র একজন মুসলমানের (Muslim), দানিশ আজাদ আনসারি (Danish Azad Ansari)। এই প্রথম মন্ত্রী হলেও, দানিশ দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি দলে রয়েছেন এবং তিনি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ঘনিষ্ঠ বৃত্তের মানুষ বলেই পরিচিত। ২০১৭ সালেও, যোগী সরকারে একটিই মুসলিম মুখ ছিল। সেই, মহসিন রাজাকে (Mohsin Raja) এবার মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হয়নি।
বালিয়া কেন্দ্র (Balia) থেকে নির্বাচিত বিধায়ক দানিশ, বালিয়ারই বসন্তপুরের (Basantapur) বাসিন্দা। একসময় তিনি সক্রিয় এবিভিপি (ABVP) কর্মী ছিলেন। বালিয়া থেকে প্রাথমিক পড়াশোনা করার পর, তিনি লখনউ বিশ্ববিদ্যালয় (Lucknow University) থেকে বি.কম পাশ করেন। তারপর কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট এবং পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে মাস্টার্স করেছেন। ২০১৭ সালেই তাঁকে উর্দু ভাষার কমিটির (Urdu Language Committee) সদস্য করা হয়েছিল। ২০২১ সালে, তাঁকে বিজেপির সংখ্যালঘু ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এবার, তাঁর গুরুত্ব আরও বাড়ল।
যোগী সরকারের একমাত্র সংখ্য়ালঘু মুখ হওয়ার পাশাপাশি, দানিশ এই মন্ত্রিসভার তরুণ মুখদের অন্যতমও বটে। মাত্র ৩২ বছর বয়সে তাঁকে মন্ত্রী করা হল। প্রতিমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পর দানিশ বলেছেন, এদিন সকালেই মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন থেকে তাঁকে ফোন করা হয়েছিল। সেই সময়ই তাঁকে জানানো হয়েছিল, যোগী আদিত্যনাথের দলে যোগ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। দানিশ জানিয়েছেন ওই ফোন পেয়ে তিনি অবাক হয়ে গিয়েছিলেন।
গত, ১০ মার্চ, ফল প্রকাশের পর, উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বড় জয় নিয়ে দানিশ আজাদ আনসারি লিখেছিলেন, 'উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন (UP Elections 2022) প্রমাণ করেছে, আমাদের রাজ্যের মানুষ এখন জাতি-ধর্ম-বর্ণের ঊর্ধ্বে উঠে উন্নয়ন ও জাতীয়তাবাদকে সর্বোত্তম মনে করে। এই ঐতিহাসিক বিজয়ে সবাইকে অনেক অনেক অভিনন্দন'। দলের যুব ও সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলির মধ্যে তিনি বরাবর সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে থাকেন। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি তাঁর আনুগত্যেরও কোনও অভাব নেই। এই দুই গুণই তাঁর মন্ত্রীপদ প্রাপ্তির মূল কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগের মন্ত্রীসভার মুসলিম মুখ মহসিন রাজা দলের সামনে প্রায়ই নিজের মত তুলে ধরতেন, যার ফলে অস্বস্তিতে পড়তে হত গেরুয়া শিবিরকে।