- Home
- India News
- পোষ্য সারমেয়র দায়িত্ব নেবে কে? মহুয়া বনাম প্রাক্তন প্রেমিকের দ্বন্ধ, তৃণমূল সাংসদকে ধমক আদালতের
পোষ্য সারমেয়র দায়িত্ব নেবে কে? মহুয়া বনাম প্রাক্তন প্রেমিকের দ্বন্ধ, তৃণমূল সাংসদকে ধমক আদালতের
Mahua Moitra News: কুকুরের দায়িত্ব কার? দিল্লি আদালতে গড়াল মহুয়া মৈত্র বনাম প্রাক্তন প্রেমিক তথা আইনজীবী জয় দেহদ্রাইয়ের মামলা। কী বলল আদালত? বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…

আদালতে গড়াল মহুয়ার পোষ্যের ঝামেলা
পোষ্য কুকুরের দায়িত্ব কার? পোষা কুকুরের ঝামেলা নিয়ে এবার আদালতে মামলা গড়াল তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র বনাম আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদ্রাইয়ের। তারা নিজেদের ঝামেলা কেন সামনা সামনি বসে মেটাচ্ছেন না তা নিয়ে তৃণমূল সাংসদ ও আইনজীবীকে ধমক দিল্লি হাইকোর্টের।
চরমে সাংসদ বনাম আইনজীবী দ্বন্ধ
জানা গিয়েছে, এক সময় সম্পর্কে ছিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদ্রাই। সেই সম্পর্ক ভাঙার পর থেকেই একাধিক ইস্যুতে তাদের মধ্যে বিবাদ পৌঁছয় চরমে। এমনকি জয় অনন্ত দেহদ্রাইকে একসময় জিল্টেড এক্স বলেও খোঁচা দিয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। শুধু তাই নয়, ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করায় মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন জয় অনন্ত দেহদ্রাই। এছাড়াও তাদের অশান্তির আরও একটি বিষয় হল তাদের পোষ্য সারমেয় রুট হুইলার। এই সারমেয়র দায়িত্ব কে নেবেন? তা নিয়ে দু-পক্ষের বিবাদ পৌঁছয় চরমে। জল গড়ায় দিল্লি আদালতে।
কী অভিযোগ করেছিলেন মহুয়া?
এই বিষয়ে আদালতে মহুয়া মৈত্র জয় অনন্ত দেহদ্রাইয়ের বিরুদ্ধে তার পোষ্য হেনরিকে চুরি করার অভিযোগ এনেছিলেন। মহুয়া দাবি করেছিলেন যে, হেনরি তার। অন্যদিকে আদালতে জয় দাবি করেছিলেন যে, সারমেয়কে ১০দিন বয়স থেকে সে দেখছে। ফলে সারমেয়র ওপর তার অধিকার বেশি।
মহুয়ার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগ
জানা গিয়েছে, কুকুরকে দেখার বাহানায় জয়ের বাড়িতে যখন তখন চলে আসতেন মহুয়া মৈত্র। তাকে ভয় দেখাতেন। যা নিয়ে দিল্লি পুলিশের কাছে মামলা করেছিলেন জয় অনন্ত দেহদ্রাই। সূত্রের খবর, এদিন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি জৈন মহুয়া মৈত্রর কুকুরকে যৌথ দেখভালেনর আবেদনের প্রেক্ষিতে বলেন,''কুকুর নিয়ে ঝামেলায় তারা কেন নিজেদের মধ্যে বসে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করে নিচ্ছেন না।'' বিষয়টি নিয়ে কেন এত জলঘোলা হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।
মহুয়ার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ?
যদিও মামলায় মহুয়ার প্রাক্তন প্রেমিক জয় জানিয়েছেন, ট্রায়াল কোর্টের রায়ে তিনি অত্যন্ত দুঃখিত। আদালতের রায়ে বাক স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে। একজন সাংসদ কী মামলাকারীর থেকে বেশি সুযোগ সুবিধা দাবি করতে পারেন? এই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন জয়। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ডিসেম্বর মাসে।

