সংক্ষিপ্ত

গত একমাসের বেশি সময় ধরে চলা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে (Ukraine-Russia Crisis) একের পর এক ভয়ঙ্কর মিসাইল ব্যবহার করা হচ্ছে। এরই মধ্যে, রবিবার সকালে ভারতীয় সেনার (Indian Army) গবেষণা বিভাগ, ডিআরডিও (DRDO)-র পক্ষ থেকেও ছোঁড়া হল একটি মাঝারি পাল্লার মিসাইল।
 

গত একমাসের বেশি সময় ধরে চলছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ (Ukraine-Russia Crisis)। স্থলযুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতিরোধে সুবিধা করে উঠতে পারছে না রাশিয়া। এই অবস্থায় তাদের তুন থেকে বের হচ্ছে একের পর এক ভয়ঙ্কর মিসাইল। এরই মধ্যে, রবিবার সকালে একটি মিসাইল ছুঁড়ল ভারতও। ভারতীয় সেনা বাহিনীর (Indian Army) গবেষণা বিভাগ, ডিআরডিও (DRDO) টুইট করে বলল, 'ডিরেক্ট হিট, টার্গেট ডেস্ট্রয়েড'। অর্থাৎ ক্ষেপণাস্ত্রটির সরাসরি আঘাতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে লক্ষ্যবস্তু। কিন্তু কোথায় ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ল ভারত? 

না, ভারতীয় সেনাবাহিনী কোনও মিসাইল হামলা চালায়নি, এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হল পরীক্ষামূলকভাবে। রবিবার সকালে, ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (Defense Research and Development Organization) বা ডিআরডিও-র পক্ষ থেকে একটি মাঝারি পাল্লার সারফেস টু এয়ার মিসাইল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (Medium-range surface-to-air missile air defense system) বা এমআরএসএএম (MRSAM)-এর পরীক্ষা পরিচালনা করা হল। পরীক্ষাটি করা হয়,  ওড়িশার বালাসোর উপকূলে। ডিআরডিও জানিয়েছে, বালাসোর উপকূল (Balasore, Odisha) থেকে এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ, ক্ষেপণাস্ত্রটি পরীক্ষামূলকভাবে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। সেটি সফলভাবে, দীর্ঘ পরিসরে একটি উচ্চ-গতির বায়বীয় নিশানায় আঘাত করেছে। 

আরও পড়ুন - সেনায় যোগ দেওয়া এখন আরও সহজ - সারা দেশে স্থাপিত হবে স্কুল, বিরাট ঘোষণা মোদী সরকারের

আরও পড়ুন - হাইপারসনিক প্রযুক্তি কী, যা ভারতকে যুদ্ধক্ষেত্রে আমেরিকার থেকেও এগিয়ে দিয়েছে

আরও পড়ুন - DRDO tribute CDS Rawat: প্রয়াত সিডিএস'কে কীভাবে 'মেড-ইন-ইন্ডিয়া' শ্রদ্ধা জানালো ডিআরডিও, দেখুন

ডিআরডিও-র পক্ষ থেকে টুইট করে বলা হয়েছে, এই মাঝারি রেঞ্জের ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি অংশ। পরীক্ষার সময় লক্ষ্যবস্তুটি ছিল ক্ষেপণাস্ত্রটির নিক্ষেপ স্থল থেকে অনেকটাই দূরে। উচ্চ গতিতে সেটি ছুটে আসছিল। ক্ষেপণাস্ত্রটি, একেবারে নিখুঁতভাবে সেই লক্ষ্যবস্তুতে গিয়ে সরাসরি আঘাত করেছে। তাতে ওই লক্ষ্যবস্তুটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এই ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র, সাধারণত বিমান হামলা, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ড্রোন হামলা বা যে কোনও ধরণের আকাশপথে হামলা প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয়। 

গত ৯ মার্চ, উত্তর ভারতের আম্বালা (Ambala) থেকে একটি ব্রাহ্মোস মাঝারি-পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র (BrahMos Medium-range Cruise Missile), রক্ষণাবেক্ষণের সময় ভুল করে নিক্ষিপ্ত হয়েছিল, গিয়ে পড়েছিল পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের (Pakistan Punjab Province) মিয়া চান্নু শহরে (Miya Channu City)। যা নিয়ে দেশের ভিতরে ও বাইরে প্রবল বিতর্ক হয়। পরে, ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বিষয়টির সম্পর্কে অবগত ব্যক্তিদের উদ্ধৃত করে এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, ভুল করে ছুটে যাওয়া ওই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রতিশোধ নিতে, ভারতকে লক্ষ্য করে একই ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়তে তৈরি হচ্ছিল পাকিস্তান। যা শেষ পর্যন্ত পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধ ডেকে আনতে পারত। বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করছে ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।