তৃতীয় দফার শেষ দিনেও অভিবাসী শ্রমিকদের অবস্থা বিপর্যস্ত এখনও অনেক প্রবাসী শ্রমিকই হেঁটেই চলেছেন খাবার নেই জল নেই কোখাও কোখাও অবশ্য বাসের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন

তৃতীয় দফার লকডাউনের শেষ দিনেও ছবিটা তেমন বদল হয়নি। এখনও রাজ্য সড়ক ও জাতীয় সকড়ে দেখা যাচ্ছে অভিবাসীদের মিছিল। না কোনও প্রতিবাদ নয়। বাড়ি ফিরতে মরিয়া ওঁরা পায়ে হেঁটেই রওনা দিয়েছেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। দুপুরের প্রখর রোদেও বিরাম নেই তাঁদের হাঁটার। 

Scroll to load tweet…

লকডাউনের আইন ভেঙেই হাঁটছেন একদল পরিয়াযী শ্রমিক। সঙ্গে রয়েছে অনেক ছোট ছোট শিশুরাও। প্রায় নিঃস্ব অবস্থায় বাড়ি ফিরতে মরিয়া ওই দলটি দুপুরের প্রখর রোদেও হাঁটা থামায়নি। এক মহিলা জানিয়েছেন আরও এক সপ্তাহ হাঁটলে তবেই তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারবেন। তাঁদের বাড়ির উত্তর প্রদেশের বরেলিতে। যদিও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য ট্রেন ও বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু অনেকেরই অভিযোগ, যাতায়াতের কোনও কিছু জোগাড় করতে না পরেই তাঁরা পায়ে হেঁটে রওনা দিয়েছেন। লকডাউনের কারণে কাজ হারিয়ে তীব্র অর্থসংকটে পড়েছেন তাঁরা। খাবারও জুটছে না বলে অভিযোগ। 

Scroll to load tweet…


বাড়ি ফেরার দাবি জানিয়েছে রবিবার সকালে সাহারনপুরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিক। বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছেন তাঁরা বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করেছেন প্রবাসী শ্রমিকদের বিহার সীমান্ত পাঠাতে। বিহার সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। 

Scroll to load tweet…

এদিনই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হেয়েছে। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের ডজন্য ৮৫ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে রেল মন্ত্রক। কিন্তু তারপরেও অভিবাসী শ্রমিকদের হাঁটার কোনও বিরাম নেই। পাশাপাশি অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। কিন্তু দিল্লির এই ছবি সম্পূর্ণ অন্য কথা বলেছেন। এখানে ময়ূর বিহারের কাছেই পুলিশ একদল প্রবাসী শ্রমিকের যাত্র আটকে দিয়েছিল। সুনীতা বলে এক মহিলা শ্রমিক জানিয়েছেন গত তিন দিন কিছুই খাননি তাঁরা। 

Scroll to load tweet…


নিজের শেষ সঞ্চয় খরচ করে ট্রাক ভাড়া করেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন প্রচুর মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই একাধিক সমস্যার সামনে পড়তে হয়েছে তাঁদের। প্রশাসনের তরফে তেমন কোনও সহযোগিতা পাননি বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি তাঁরা জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ রুখতে ফেস মাস্ক তাঁরা পরেছেন। কিন্তু একটি ট্রাকে গাদাগাদি করে বাড়ি ফিরতে চাওয়ায় নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মানা তাঁদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। 

Scroll to load tweet…

উত্তর প্রদেশ দিল্লি সীমানায় হেঁটেই বাড়ি ফিরতে মরিয়া একদল অভিবাসী শ্রমিককে আটকে দিয়েছে পুলিশ। উত্তর প্রদেশ প্রশাসনের তরফে জানান হয়েছে তাঁদের বাড়ি ফেরার জন্য বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে লকডাউনের কারণে পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থা বিপর্যস্ত। একের পর এক ঘটে যাচ্ছে দুর্ঘটনা। কিন্তু ওঁদের বাড়ি ফেরাতে প্রশাসন তেমন কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না বলেই অভিযোগ। 

আরও পড়ুনঃ 'ফিরতে বলা হয়নি জারি করা হয়নি নির্দেশিকা', নার্সদের ফিরে যাওয়া প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মণিপুরের মুখ্যমন্...

আরও পড়ুনঃ ভারত কি টপকে যাবে ইরানকেও, করোনা সংক্রমণে মহারাষ্ট্রের পরই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে গুজরাত ..

আরও পড়ুনঃ গ্রামীণ কর্মসংস্থান বাড়াতে মনরেগায় বরাদ্দ বৃদ্ধি, জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর ...