সংক্ষিপ্ত
ইদ-উল-আজহা উপলক্ষ্যে বাজারে বাজারে উঠেছে বিভিন্ন জাতের ছাগল-পাঁঠা। বাকিগুলির দাম ১৫ হাজারের আশপাশে হলেও, এই দুটি ক্ষেত্রে এত বেশি বেশি দাম উঠল কেন?
একটি ছাগলের দাম চাওয়া হল এক কোটি, দাম উঠল ৫১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত, তাও বিক্রি করলেন না বিক্রেতা। আবার আরেক জায়গায় জোড়া পাঁঠা বিকোলো ৪.৫ লক্ষ টাকা দিয়ে। বুধবার ভারতে ইদ-উল-আজহা উদযাপন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বাজারে উঠেছে বিভিন্ন জাতের ছাগল এবং পাঁঠা। জাত অনুযায়ী হেরফেরও হচ্ছে দামের। তবে, সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে উপরে বলা দুটি দাম। কিন্তু ছাগল বা পাঁঠার দাম ১ কোটি বা সাড়ে ৪ লক্ষ! এমন আবার হয় নাকি? হয়, যদি সে ছাগলের গায়ে লেখা থাকে আল্লা, কিংবা যদি সেই পাঁঠাদের নিয়মিত খাওয়ার খরচ হয় ৬০০ টাকা!
প্রথমে আসা যাক ১ কোটি টাকার ছাগলটির কথায়। ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের বুলধানা জেলার। বকরি ইদের আগে রাজস্থানের আজমের থেকে ছাগল বিক্রি করতে মহারাষ্ট্রে এসেছিলেন গোপালরাও সোহেল ও তাঁর ছেলে কপিল সোহেল। সঙ্গে এনেছিলেন ৩০টি ছাগল ও 'টাইগার'কে। বাকি ছাগলগুলির একেকটি তাঁরা বিক্রি বিক্রি করেছেন ১৫ হাজার টাকার আশপাশে। কিন্তু, 'টাইগার'এর জন্য গোপালরাও দাম হাঁকেন ১ কোটি ৭৮৬ টাকা। ৫১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিতে চেয়েছিলেন ক্রেতারা, কিন্তু তাতে রাজি না হয়ে, টাইগারকে নিয়েই বাড়ি ফিরবেন বলে ঠিক করেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন - তালার সঙ্গে সঙ্গম করতে গিয়ে পুরুষাঙ্গই হারানোর দশা, দু'সপ্তাহ পর মুক্তি দিলেন ডাক্তাররা
প্রশ্ন হল, 'টাইগার' নামের ছাগলটির কেন এত দাম? জানা গিয়েছে, জন্ম থেকেই ছাগলটির গায়ে যে ছোপ রয়েছে, তা আরবী লিপিতে লেখা 'আল্লা'র মতো দেখতে। গোপালরাও নিজে এসব জানতেন না, পরে এক মৌলানা তাঁকে এই বিষয়ে অবগত করেন। তখনই বিরাট দাম হাঁকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত টাইগার-এর জন্য চাওয়া দাম তিনি পাননি। তাই হয়তো ছাগলটিকে নিয়েই আজমের ফিরবেন গোপালরাও এবং কপিল।
আরও পড়ুন - বাস্তবের কুম্ভকর্ণ - বছরে ৩০০ দিন ঘুমিয়ে কাটে রাজস্থানের এই ব্যক্তির, এর পিছনে রহস্য কী
সাড়ে ৪ লক্ষ টাকায় জোড়া পাঠা বিক্রির ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ-এ। দুটি পাঁঠারই দুই বছরের আশপাশে, ওজন যথাক্রমে ১৭০ কেজি এবং ১৫০ কেজি। টাইগারের গায়ে আল্লা লেখা ছিল, এই পাঁঠা দুটির কেন এত দাম দেওয়া হল? এই রহস্য লুকিয়ে আছে তাদের ভরণ-পোষণে। প্রতিদিন পাঁঠাদুটিকে তাদের মালিক কাজুবাদাম, পেস্তা, বাদাম, মিষ্টি এবং ফলের রস খাওয়াতেন, যাতে তাদের শারীরিক গঠন ভাল হয়। এতে গড়ে ৬০০ টাকা খরচ হতো। স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে পাঁঠাদুটিকে প্রতিদিন শ্যাম্পু দিয়ে স্নান করানোও হতো। শুধু তাই নয়, মাঝে মাঝে তাদের ডাক্তারি পরীক্ষাও করাতেন তাদের মালিক। কাজেই দাম তো উঠবেই।
আরও পড়ুন - কিশোরের পায়ুছিদ্র দিয়ে বেরোচ্ছে একের পর এক ডিম - মানুষ না মুরগী, হতবাক চিকিৎসকরা
ইদ-উল-আধা ইসলাম ধর্মের এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরব। হিজরি ক্য়ালেন্ডারের ধু আল-হিজা মাসের দশম দিনে মক্কায় হজযাত্রার সমাপ্তি উপলক্ষে এই পরব উদযাপিত হয়, যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ত্যাগের দর্শন।