সংক্ষিপ্ত
- ২ দিনের সফরে পাকিস্তানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট
- পাকিস্তানের সংসদে কাশ্মীর নিয়ে বক্তব্য
- ইমরানের পাশে থাকার আশ্বাস এরদোগানের
- নাক না গলানোর হুঁশিয়ারি ভারতের
রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার পর এবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশন। ফের একবার কাশ্মীর ইস্যুতে ইমরানের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসাপ তায়িপ এরদোগানকে। দু'দিনের সফরে পাকিস্তানে গিয়েছেন এরদোগান। শুক্রবার পাক সংসদে বক্তব্য রাখেন তিনি। তুরস্ক ও পাকিস্তানের বন্ধুত্ব প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কাশ্মীর প্রসঙ্গও টেনে আনেন এরদোগান। বলেন, আমাদের কাশ্মীরি ভাই-বোনেরা দশকের পর দশক ধরে কষ্ট সহ্য করছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কিছু সিদ্ধান্ত তাঁদের এই কষ্ট আরও বেশি বাড়িয়ে দিয়েছে। পাকিস্তান বরাবর কাশ্মীরিদের পাশে থেকেছে। পাকিস্তানের কাশ্মীর নিয়ে ঠিক যতটা চিন্তা, ততটাই চিন্তা আমাদের। তাই এই সময় এমন একটা সমাধানের প্রয়োজন, যা সবার জন্য ভাল হয় ও শান্তি বজায় থাকে। তুরস্ক শান্তি চেয়ে এসেছে। আমরা পাকিস্তানের পাশে আছি।"
আরও পড়ুন: মুকেশ আম্বানির পরেই তালিকায় রয়েছেন ইনি, চেনেন কি ভারতের দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তিকে
এরদোগান এমন বার্তা দিতেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত। তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে সতর্ক করে বলা হয়েছে পাকিস্তান ও রুস্কের তরফে যৌথভাবে কাশ্মীরকে নিয়ে মন্তব্যের কোনও যৌক্তিকতা নেই। কাশ্মীপ বরাবরই ভারতের অংশ। তুরস্ককে এই বিষয়ে নাক না গলানোরও পরামর্শ দিয়েছে নয়াদিল্লি।
আরও পড়ুন: কাশ্মীর ইস্যুতে ইমরানের হাত ধরলেন এরদোগান, তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে কড়া বার্তা ভারতের
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও কাশ্মীর প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন এরদোগান। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় মাস চারেক আগেই কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলেছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। ভারত তখনও বিষয়টির প্রতিবাদ জানায়। কিন্তু নয়াদিল্লির আপত্তিকে আমল না দিয়েই আরও এক বার কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুললেন তুরস্কের প্রেসিডন্টে। এবার একেবারে পাক সংসদের অন্দরে।
এরগোদানের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেছেন, "আমরা তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে বলেছি জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে নাক না গলাতে। কারণ এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এই বিষয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা ভারতই নেবে। বরং দেখুন কী ভাবে সবসময় পাকিস্তান থেকে কাশ্মীরে জঙ্গি পাঠানো হয়। কী ভাবে ভারতে সন্ত্রাস চালানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে পাকিস্তান। তারপরেই এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করা উচিত তুরস্কের প্রেসিডেন্টের।"