Bird Flue: ফের বার্ড ফ্লু-এর আশঙ্কা! নতুন ভাইরাস চিহ্নিত করার যন্ত্র আবিষ্কারের পথে বিজ্ঞানীরা

খুব দ্রুত মিউটেশনের ফলে জিনে রাসায়নিক বদল ঘটাচ্ছে বার্ড ফ্লুর ভাইরাস। ফলে আরও ভয়ানক হয়ে উঠছে আশঙ্কা। বেশ কিছুদিনের ধরেই সংবাদ মাধ্যম ভরে রয়েছে বার্ড ফ্লুয়ের শঙ্কায়। দেশের অনেক রাজ্য যেমন অন্ধ্রপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড ও বোকারোর পোলট্রি ফার্মগুলিতে বার্ড ফ্লু এর ভাইরাস মিলেছে। এমনকি এবার পাখি থেকে বিড়ালের শরীরেও ঢুকেছে এই ভাইরাস। তবে বিজ্ঞানীদের মধ্যে সবথেকে বেশি ভয় বাড়াচ্ছে যে জিনিস তা হল আক্রান্ত পাখিদের সংস্পর্শ থেকেই শুধু নয়, বাতাসেও ভেসে বেড়াচ্ছে এই ভাইরাস।

‘বার্ড ফ্লু’ সাধারণত সংক্রমিত পাখি, তাদের বিষ্ঠা বা সংক্রমিত দেহ থেকে সরাসরি সংস্পর্শের মাধ্যমে মানুষের দেহেও ছড়াতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তার জেরে গলাব্যথা, প্রচণ্ড জ্বর, পেশিতে ব্যথা, কাশি এবং শ্বাসকষ্টের উপসর্গ থাকে। খুব বাড়াবাড়ি হলে নিউমোনিয়া বা শ্বাসযন্ত্র বিকল পর্যন্ত হতে পারে।

এখনও অবধি বার্ড ফ্লু এর এইচ৫এন১ এবং এইচ৭এন৯ - এই দুই প্রজাতির খোঁজ মিলেছে। ইউরোপ ও আমেরিকার বিজ্ঞানীরা বার্ড ফ্লু ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে দেখেছেন, খুব দ্রুত ‘মিউটেশন’ বা জিনের রাসায়নিক বদল হচ্ছে এই ভাইরাসের। ফলে নতুন নতুন প্রজাতির জন্ম হচ্ছে। তার মধ্যে কিছু বাতাসে ভেসেও সংক্রমণ ঘটাতে পারে। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, এইচ৫এন১ ভাইরাস তার জিনগত বিন্যাসের বদল ঘটিয়ে আরও সংক্রামক হয়ে উঠেছে। কিন্তু এই প্রজাতি এখন বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা বা জলকণাকে আশ্রয় করে বহু দূর অবধি ভেসে যেতে পারে।

বাতাসে ভাসমান ভাইরাস চিহ্নিত করার যন্ত্র :

বিশেষ এক ধরনের ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল ক্যাপাসিটিভ বায়োসেন্সর তৈরি হয়েছে, যা বাতাসের কণায় মিশে থাকা ভাইরাস চিহ্নিত করতে পারে। ফলে কোন এলাকার বাতাসে ভাইরাসের আধিক্য রয়েছে, কত দূর অবধি তা ছড়িয়ে পড়ছে, তা জানা সম্ভব হবে। নতুন যন্ত্রটিতে ন্যানোক্রিস্টাল ও গ্রাফিন অক্সাইডের সূক্ষ্ম স্তর রয়েছে। এটি নেটওয়ার্কের কাজ করবে। সেটি কার্বন ইলেক্ট্রোডের উপর বসানো, যা সেন্সরের মতো কাজ করবে। এই যন্ত্রটিতে বাতাস ঢুকলে তাতে ভাসমান জলকণা, ধূলিকণায় কী কী রয়েছে, তা চিহ্নিত করা যাবে। জলকণায় বার্ড ফ্লু ভাইরাস রয়েছে কি না, তা-ও বোঝা যাবে।