India ECOSOC: রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে ভারতের আবার জয়। বড় পদ পেল ভারত। সোশ্য়াল মিডিয়ায় এই কথা জানিয়ে পোস্ট করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন… 

India ECOSOC: ভারতের মুকুটে নতুন পালক। রাষ্ট্রসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (Economic and Social Council - ECOSOC)-এর সদস্য নির্বাচিত হয়েছে ভারত। ২০২৬ সাল থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত এই পদে থাকবে ভারত। বুধবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই কথা জানিয়ে বার্তা পোস্ট করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস.জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

এদিন তিনি বলেন, ''আজ রাষ্ট্রসংঘে ২০২৬-২৮ সালের মেয়াদের জন্য ভারত অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে তাদের ভরসা, সমর্থন এবং আমাদের প্রতি আস্থা রাখার জন্য ধন্যবাদ। @IndiaUNNewYork-এর প্রচেষ্টার প্রশংসা করি।"

শুধু তাই নয়, তিনি জানান, ভারত উন্নয়নমূলক বিষয়গুলিকে তুলে ধরা এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (ECOSOC)-কে শক্তিশালী করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে সবসময়। এস জয়শঙ্কর আরও বলেন, "ভারত উন্নয়নমূলক বিষয়গুলিকে পূরণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ECOSOC-কে শক্তিশালী করার জন্য কাজ চালিয়ে যাবে।"

Scroll to load tweet…

ECOSOC-কে একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যা অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয় সম্পর্কিত নীতি সুপারিশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সংগঠন বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পরিবেশগত দিকগুলি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করে। রাষ্ট্রসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদে (ইকোসক) এবার ১৮তম বারের মতো নির্বাচিত হল ভারত। এর আগে ভারত ২০০৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত টানা চার বারের মেয়াদে ইকোসকের সদস্য ছিল।

জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্বকারী প্রধান সংস্থা হলো ইকোসক (ECOSOC), যা মূলত টেকসই উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে কাজ করে।

ইকোসকের সদস্যপদ ও নির্বাচন প্রক্রিয়া:-

ইকোসকের মোট সদস্য সংখ্যা ৫৪ জন। প্রতি তিন বছর অন্তর এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের মেয়াদ শেষ হয় এবং নতুন ১৮টি আসনের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই আসনগুলো অঞ্চলভিত্তিক বন্টন করা হয়। চলতি বছর এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য চারটি আসন নির্বাচনের জন্য উন্মুক্ত ছিল।

চীনের পুনঃনির্বাচন ও জয়:-

এ বছর যার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, সেই চীন পুনঃনির্বাচনে অংশ নেয় এবং ১৮০ ভোট পেয়ে জয়লাভ করে।

লেবানন এবং তুর্কমেনিস্তান, উভয় দেশই ১৮৩টি করে ভোট পেয়ে ইকোসকের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। এই দুটি দেশই তাদের নিজ নিজ অঞ্চলের একমাত্র প্রার্থী ছিল এবং আঞ্চলিক গোষ্ঠী দ্বারা তাদের প্রার্থিতা সমর্থিত হয়েছিল।

পূর্ব ইউরোপ গ্রুপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও ইউক্রেনের জয়:- 

তবে পূর্ব ইউরোপ গ্রুপে নাটকীয়তা দেখা গিয়েছে। এই অঞ্চলের তিনটি আসনের জন্য পাঁচটি প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল, কারণ আঞ্চলিক গোষ্ঠী কোনও নির্দিষ্ট প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করতে পারেনি। প্রথম দফায় যথেষ্ট ভোট পেতে ব্যর্থ হওয়ায় রাশিয়াকে রান-অফের মুখোমুখি হতে হয়েছে, যেখানে ইউক্রেন রাশিয়াকে নির্বাচনে পিছনে ফেলে দিয়েছে।

ইউক্রেন ১৩০ ভোট এবং ক্রোয়েশিয়া ১৪০ ভোট পেয়ে প্রথম দফায় দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন নিয়ে নির্বাচিত হয়েছে। অন্যদিকে, রাশিয়া ১০৮ ভোট পাওয়ায় তাদের সহযোগী বেলারুশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধ্য হয়। বেলারুশ পেয়েছিল ৯৬ ভোট। সর্বনিম্ন ৫৯ ভোট পাওয়ায় উত্তর মেসিডোনিয়া বাদ পড়ে।

দ্বিতীয় দফায় ২৩টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকায় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাপকাঠি কমে যায় এবং রাশিয়া ১১৫ ভোট পেয়ে জয়লাভ করে, যেখানে বেলারুশ পায় ৪৬ ভোট। ইতালি ও লিচেনস্টাইন তাদের আসন ছেড়ে দেওয়ায় আমেরিকা ও জার্মানি ইকোসক-এর উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছে। একই সঙ্গে ভারত প্রতিবেশী দেশ নেপাল, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ইকোসক-এর সদস্য হবে বলে জানা গিয়েছে। 

Scroll to load tweet…

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।