সংক্ষিপ্ত
- যৌন কাজের লোভনীয় প্রাস্তব
- সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁদ পাতছে
- টার্গেট তরুণ তরুণীরা
- প্রতারণা আর ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে
যৌন কাজের সঙ্গে জড়িত কেলেঙ্কারির সংখ্যা দিনে দিনে এই দেশে বেড়েই চলেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এজাতীয় কাজের জন্য মূলত আকর্ষণ করা হয় তরুণদের। ভালো বেতনসহ একাধিক লোভনীয় প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। তবে Sex Work-এর চাকরি দেওয়া হয়। একাধিক যৌন কাজকর্ম করিয়ে দেওয়া হলেও প্রতিশ্রুতি পুরণ করা হয় না বলেও অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তোভোগীরা। উল্টে তাঁদের ব্ল্যাকমেইল করা হয়। এশিয়ানেট নিউজের একটি তদন্তে তেমনই ছবি ধরা পড়়েছে।
কাজ হারানো কাকার জমি-বাড়ি দখল তৃণমূল নেতা 'ভাইপো'র, পারিবারিক বিবাদেও রাজনীতির রঙ ...
এশিয়ানেট নিউজের তদন্তে জানা গেছে- এমন অনেক ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল রয়েছে যেখানে একাধিক বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। সেই প্রোফাইলগুলি থেকেই তরুণদের যৌনকাজে যোগদেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হয়। টার্গেট করা হয় মূলত ১৬-২৫ বছর বসয়ীদের। এছাড়াও একাধিক সোশ্যাল মিডিয়ায় পেজে এজাতীয় বিজ্ঞাপন দেখতে পাওয়া যায়। সাইটগুলিতে বলা হয় যৌন কাজের জন্য তরুণদের প্রয়োজন রয়েছে। চাকরির প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি মহিলাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব আর প্রচুর অর্থ উপার্যনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আবারও বাড়ল, ডেল্টা প্লাসই তৃতীয় তরঙ্গের কারণ নয় বললেন বিশেষজ্ঞ ...
তদন্তে উঠে আসা তথ্যে দেখা গেছে, কিশোরী-কিশোরীদের যৌন অনুভূতিগুলি শোষণ করা আর একই সঙ্গে তাঁদের ফাঁদে ফেলা হচ্ছে। দক্ষিণ দক্ষিণ দিল্লির কলেজ ছাত্র এজাতীয় ব়়্যাকেটের ফাঁদে পড়েছিল। সংশ্লিষ্টই জানিয়েছেন কীভাবে তাঁদের জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল। তিনি জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্লে-বয় নামে একটি সংস্থার বিজ্ঞাপন দেখেছিলেন। তারপর তিনি সেখানে যোগাযোগ করেন। তারপরই তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে একটি ম্যাসেজ আসে। সেখানে ছিল এজেন্সিতে যোগ দেওয়ার লোভনীয় প্রস্তাব।
Delta Plusএ প্রথম মৃত্যু মধ্যপ্রদেশে, করোনাভাইরাসের টিকার 'গুরুত্ব' নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন মৃতা .
সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল, এজেন্সিতে যোগদেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্তকরণের জন্য ৩০০০ টাকা জমা দিতে হবে রেজিস্ট্রেশন ফি হিসেবে। জানান হয়েছিল প্রতি মাসে ১০ জন মহিলাকে পরিষেবা দিতে হবে। সংশ্লিষ্টরা পরিষেবা পছন্দ করলে তাঁর অ্যাকাউন্টে আরও বেশি অর্থ আসবে। এছাড়া আরও একাধিক প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু ততক্ষণে সে টাকা দিয়ে নাম নথিভুক্ত করেছিল। তারপরেই তাঁকে ব্লক করে দেওয়া হয়। তখন তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন সংস্থাটি ভুয়ো। গোটাটাই একটা দূর্ণীতির অংশ।
তদন্ত উঠে এসেছে আরও এক তরুণের গল্প। সংশ্লিষ্ট যুবক নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। দিয়েছিল টাকাও। তারপরেই এক মহিলা তাঁকে দেখা করার প্রস্তাব দেন। তরুণটি সেখানে যায়। সেখানে তাঁর ছবি তোলা হয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই ছবি নিয়েই সংস্থাটি ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে বলে অভিযোগ। পরবর্তীকালে এজাতীয় কাজ করতে আগ্রহী ছিলেন না তিনি। তখনই তাঁর পরিবারকে সমস্ত কথা জানিয়ে দেওয়া আর ছবি প্রকাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এজাতীয় অবৈধ সংস্থাগুলি নিয়ে আগে থেকেই দিল্লি পুলিশ সতর্ক করছে।