সংক্ষিপ্ত
ভারতের কম্পিটিশন কমিশন (Competition Commission of India)-র বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করল অ্যালফাবেট ইনকর্পোরেশন (Alphabet Inc)। গুগল তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের তথ্য ফাঁসের অভিযোগ এনেছে।
গত শনিবার টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং রয়টার্স জানিয়েছিল, ভারতের কম্পিটিশন কমিশন (Competition Commission of India)-র একটি তদন্তে দেখা গিয়েছে অ্যালফাবেট ইনকর্পোরেশন (Alphabet Inc) গুগল ভারতে তার অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের প্রভাবশালী অবস্থান বজায় রাখার জন্য তার বিশাল আর্থিক শক্তি ব্যবহার করে অবৈধভাবে প্রতিযোগী সংস্থাগুলির ক্ষতি করছে। বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে, সিসিআই-এর বিরুদ্ধে মামলা করল গুগল। ভারতীয় অ্যান্টিট্রাস্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে তারা হ্যাবিচুয়াল অফেন্ডার বলে আদালতে অভিযুক্ত করেছে।
গুগল আগালতে বলেছে, সিসিআই যেসব মামলার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সেগুলির গোপনীয় তথ্য ফাঁস করে দেয়। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, এই 'আত্মবিশ্বাসের লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে তারা প্রতিবাদ জানাচ্ছে' এবং 'গোপনীয় তথ্যের আরও বেআইনি প্রকাশ বন্ধ করতে'ই তারা এই মামলা করেছে। শুক্রবারের প্রায় এক ঘণ্টা ধরে আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। গুগলের পক্ষে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি, সিসিআই-এর বিরুদ্ধে বার বার তথ্য ফাঁসের অভিযোগ এনে বলেন, তারা আগে থেকে কোনও সংস্থাকে বদনাম দেয়। তারপর এই বেছে বেছে তথ্য ফাঁস করে সংস্থাটিকে ফাঁসিয়ে দেয়। আদালতের কাছে তিনি অবিলম্বে এই তথ্য ফাঁস বন্ধের আবেদন করেন।
সিসিআই-এর আইনজীবী তথা ভারতের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এন ভেঙ্কটরামন সব অভিযোগই অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, 'সরকারী সংস্থাটির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই পুরো হলফনামায় একটি শব্দও নেই যা বলে কীভাবে তথ্য ফাঁস করা হয়েছে এবং তার কোনও প্রমাণও দেওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন এই আদালতে যে অপরাধের কথা দাবি করা হচ্ছে, তার জন্য সিসিআই সংস্থা কীভাবে দায়ী হতে পারে? বিচারপতি রেখা পল্লী উভয় পক্ষের সওয়াল জবাব শুনেছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী সোমবার।
২০১৯ সালেই এই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল সিসিআই। তারা বলেছিল, গুগল তার মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের বিকল্প সংস্করণ বেছে নেওয়ার বিষয়ে ডিভাইস নির্মাতাদের ক্ষমতা হ্রাস করার জন্য এবং তাদের গুগল অ্যাপস প্রি-ইনস্টল করতে বাধ্য করার জন্য তার আধিপত্যকে কাজে লাগিয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা গিয়েছে, অ্যাপগুলির বাধ্যতামূলক প্রি-ইনস্টলেশন 'ডিভাইস নির্মাতাদের উপর অন্যায় শর্ত আরোপের সমান'। এটা ভারতের প্রতিযোগিতা আইন লঙ্ঘন করে বলে দাবি করা হয়েছিল।