সংক্ষিপ্ত

রাজকোট-সৌরাষ্ট্রের সুপরিচিত ব্যবসায়ী সৌলেশভাই উকানিক ছেলে জয় উকানির বিয়ে হয় সোনালবেনের সঙ্গে। ১৪-১৬ নভেম্বর রাজস্থানের যোধপুরের উমেদ ভবন প্যাসেলে বিয়ের আসর বসেছিল।

ছেলের বিয়ে বলে কথা! বিয়ের আগে বিয়ের কার্ডেই তাক লাগিয়ে দিলেন গুজরাটি ব্যবসায়ী (Gujarati Businessman) । তার তাই দেখেই রীতিমত বিষ্ময়ে হতবাক হয়েছে আম জনতা। কারণ নয় নয় করে ছেলের বিয়ের নিমন্ত্রণ পত্রেই ওজন মোট ওজন ৪ কেজে ২৮০ গ্রাম। কার্ড না বলে একে বাক্স বলাই শ্রেয়। আত্মীয় পরিজন, বন্ধু-বান্ধব, পরিচিতদের কাছে এমনই দৈত্যাকার বিয়ের আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছিলেন এক গুজরাটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। শুধু বিয়ের আমন্ত্রণপত্রই  (Wedding Card) নয়, বিয়ের আসেই ছিল রাজকীয় ছোঁয়া। 

রাজকোট-সৌরাষ্ট্রের সুপরিচিত ব্যবসায়ী সৌলেশভাই উকানিক ছেলে জয় উকানির বিয়ে হয় সোনালবেনের সঙ্গে। ১৪-১৬ নভেম্বর রাজস্থানের যোধপুরের উমেদ ভবন প্যাসেলে বিয়ের আসর বসেছিল। রাজকীয় বিয়ের আমন্ত্রণপত্রেও ছিল রাজকীয় ছোঁয়া। গুজরাটিতে বিয়ের কার্ডকে বলা হয় কাঁকোত্র। সেই বিয়ের কার্ডে গুজরাটি শিল্পের ছোঁয়া ছিল। সুদৃশ্য গোপালি রঙের বিয়ের কার্ডে তিন দিনের জন্য আমন্ত্রণ জানান হয়েছিল অতিথিদের। মাত্র সাত পৃষ্ঠার   এক একটি কার্ড তৈরিতে খরচ হয়েছিল ৭ হাজার টাকা। 

কার্ডের প্রথমেই ছিল শ্রীনাথজির ছবি। মৌশেলভাই উকানি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা শ্রীকৃষ্ণের ভক্ত। সেইজন্য কার্ডের প্রথম পাতায়তেই ভগবান কৃষ্ণ রয়েছেন আশীর্বাদ করার জন্য মৌলেশভাই উকানি দ্বারকা মন্দিরের একজন ট্রাস্টিও। কার্ডটি একটি বাক্সে ভরা। আর সেই বাক্সে রয়েছে আরও ছোট ছোট চারটি বাক্স। সেই বাক্সতেই ঠাসা ছিল কাজু, বাদামস কিশমিশ আর চকোলেট। তার ওপরে রাখা ছিল শ্রীকৃষ্ণে ছবি দেওয়ার সাত পাতার আমন্ত্রণপত্রটি। 

তবে শুধু বিয়ের কার্ডেই নয়, বিয়ের আসরেও যথেষ্ট রাজকীয় ছোঁয়া ছিল। জয় উকানির বিয়ে ছিল একটি ইভেন্ট। সেখানে জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন। ঐশ্বরিয়া মজুমদার ও শচীন জিগার একার পর এক গান গেয়ে বিয়ের আসরে উপস্থিত অতিথিদের মনোরঞ্জন করেন। আর খাবারও ছিল যথেষ্ট দামি। প্লেট পিছু উকানিরা খরচ করেছিলেন ১৮ হাজার টাকা। তবে অতিথিদের মহাভোজে কী কী দেওয়া হয়েছিল তা জানা যায়নি। উধম প্যালেস ভারতের সবথেকে রাজকীয় ও ব্যায়বহুল হোটেলগুলির মধ্যে একটি। এখানে একটি রুম বুক করাও খুব ঝক্কির। রাজস্থানের প্রাচীন গড়গুলির মধ্যে এটি অন্যতম। দেওয়ার সুক্ষ কারুকাজ এখনও দর্শকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। এই হোটেলের একটি ঘরের ভাড়াই ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়। ২-৩ লক্ষ টাকার ঘরও রয়েছে। হানিমুন স্যুটের প্রতিরাতের খরচ সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা। 

Crime Against Woman: 'পরিবারের সম্মান রাখতে' খুন, দিদির কাটা মুণ্ড নিয়ে ভাইয়ের পৈশাচিক উল্লাস

Eye Makeup: প্রতিদিন চোখে কাজল ব্যবহার করেন, তার আগে জেনে নিন এর মারাত্মক সাইডএফেক্টগুলি

Amit Shah On Nagaland: ভুলবশত গুলি নাগাল্যান্ডে, সংসদে স্বীকার করলেন অমিত শাহ