হিমাচল প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাত এবং ভূমিধ্বসের ফলে পরিস্থিতি ভয়াবহ, এখন পর্যন্ত ৪০৪ জনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। ৫৯৮ টি রাস্তা বন্ধ, ৫০০ ট্রান্সফরমার এবং ১৮৪ টি জল সরবরাহ প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত। মন্ডি, কুল্লু, শিমলা জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
হিমাচল প্রদেশে বৃষ্টিপাত এবং ভূমিধ্বসের ফলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (SDMA) এর সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০ জুন থেকে এখন পর্যন্ত ৪০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ এবং জল সরবরাহ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে গ্রামীণ এবং শহরাঞ্চল উভয় ক্ষেত্রেই সমস্যা বেড়েছে।
৫৯৮ টি রাস্তা বন্ধ, তিনটি জাতীয় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত
SDMA জানিয়েছে যে রাজ্যে ৫৯৮ টি রাস্তা এখনও বন্ধ রয়েছে, যার মধ্যে তিনটি জাতীয় সড়ক (NH-03, NH-305 এবং NH-503A) রয়েছে।
- কুল্লু জেলায় ১৭২ টি রাস্তা বন্ধ, যার মধ্যে মনালি-আটল টানেল রোহতাং মার্গ এবং আন্নি-জালোরি হাইওয়ে উল্লেখযোগ্য।
- মন্ডি জেলায় ২০১ টি রাস্তা এখনও বন্ধ রয়েছে।
- শিমলা জেলায় ৫৭ টি রাস্তা বন্ধ, যার ফলে গ্রামীণ এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিদ্যুৎ এবং জল সরবরাহ বন্ধ
लगातार ভূমিধ্বস এবং বৃষ্টিপাতের কারণে ৫০০ টি বিদ্যুৎ ট্রান্সফরমার এবং ১৮৪ টি পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
- মন্ডি জেলায় ৩১৪ টি ট্রান্সফরমার কাজ করছে না।
- শিমলা জেলায় ৪৯ টি জল সরবরাহ প্রকল্প বন্ধ হওয়ায় অনেক গ্রামে জলের সংকট দেখা দিয়েছে।
মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগজনক
২০ জুন থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৪০৪ জনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে।
- বৃষ্টিপাত সংক্রান্ত ঘটনা যেমন ভূমিধ্বস, বন্যা, ডুবে যাওয়া এবং বাড়িঘর ধসে ২২৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
- সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উনা এবং কুল্লুতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
উনা জেলায় ভাদসালি সেতুর দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় NH-503A বন্ধ করতে হয়েছে। কুল্লুতে ভারী যানবাহনের চলাচল এখনও বন্ধ রয়েছে।
ত্রাণ এবং পুনরুদ্ধার কাজে সমস্যা
রাজ্য সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসন পুনরুদ্ধার কাজ ত্বরান্বিত করেছে। হাইওয়ে এবং গ্রামীণ রাস্তা খোলার জন্য ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে। যদিও ভূমিধ্বস এবং খারাপ আবহাওয়া ত্রাণ কাজে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দর্শন
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন এবং রাজমार्ग राज्यमंत्री অজয় টমটা রবিবার মন্ডি এবং কুল্লু দর্শন করেছেন। এই সময় বিরোধী দলনেতা জয়রাম ঠাকুরও উপস্থিত ছিলেন। জয়রাম ঠাকুর জানিয়েছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের হিমাচলে পাঠানো হয়েছে, যাতে ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করা যায়। অজয় টমটা তাঁর প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় সরকারকে জমা দেবেন, যার ভিত্তিতে ত্রাণ কাজে গতি আনা হবে।


