সিয়াচেনের প্রচণ্ড ঠান্ডায় জওয়ানদের লড়াই দেখলে যেকোনো দেশবাসী গর্বিত হবে। -৫০ ডিগ্রিতে জমে যাওয়া ডিম আর টমেটো হাতুড়ি দিয়ে ভাঙা, বরফ গলিয়ে জল পান করা, এটাই তাদের প্রতিদিনের রুটিন।  

Siachen Soldiers Survive Minus Fifty Temperature : সিয়াচেন গ্লেসিয়ার—পৃথিবীর সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র। এখানে তাপমাত্রা -৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছে যায়। জওয়ানদের শুধু ঠান্ডার সঙ্গেই লড়াই করতে হয় না, এক ফোঁটা জলের জন্যও পরিশ্রম করতে হয়। এখানকার সৈনিকদের জন্য প্রতিটি দিনই পরীক্ষার মতো। যখন আমরা এসি ঘরে গরম কম্বলের নিচে আরামে ঘুমাই, তখন জওয়ানরা বরফশীতল হাওয়ায় সীমান্ত রক্ষা করেন।

সম্প্রতি একটি ভাইরাল ভিডিও সবার নজর কেড়েছে, যেখানে সিয়াচেনে কর্মরত ভারতীয় জওয়ানরা তাদের প্রতিদিনের খাবার খাওয়ার যোগ্য করে তোলার জন্য যোগাড় করছেন। এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে ডিম, সবজি এবং টমেটো এতটাই শক্ত হয়ে গেছে যে হাতুড়ি দিয়েও ভাঙা যাচ্ছে না। পান করার জন্য জল নেই, মিনারেল ওয়াটার পুরোপুরি জমে গেছে। সেটাকে আগুনে গলিয়ে পানের যোগ্য করা হচ্ছে। কিন্তু আগুন জ্বালানোও অতটা সহজ নয়।

এই কঠিন পরিস্থিতিতেও জওয়ানদের সাহস প্রশংসার যোগ্য। তাদের মনোবল এটাই প্রমাণ করে যে কঠিনতম পরিস্থিতিতেও সৈনিকদের দেশপ্রেমের ভাবনা কখনও কমে না। সিয়াচেনের বরফের পাহাড়ের মধ্যে যখন জওয়ানরা রাইফেল নিয়ে চলেন, তখন সেটাই তাদের কাছে সবচেয়ে বড় ধর্ম হয়ে ওঠে। তাদের সাহস দেখে প্রত্যেক ভারতবাসীর মাথা গর্বে উঁচু হয়ে যায়।

ভ্যাকুয়াম প্যাকিংয়েও হাড় কাঁপানো ঠান্ডা

রিপোর্ট অনুযায়ী, জওয়ানদের এখানে খাবার সুরক্ষিত রাখার জন্য বিশেষ ভ্যাকুয়াম প্যাকিং দেওয়া হয়। তবে, কখনও কখনও তাপমাত্রা এতটাই কমে যায় যে প্যাক করা খাবারও কঠিন বরফ হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে গরম জল তৈরি করার জন্য গ্যাস বা কেরোসিনের স্টোভ ব্যবহার করা হয়, কিন্তু কখনও কখনও সেই তরলও জমে যায়।