গাজা শান্তি চুক্তি: ভারত গাজা শান্তি চুক্তির প্রথম পর্বকে স্বাগত জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাথে ফোনে কথা বলে এই চুক্তির প্রশংসা করেছেন। 

গাজা শান্তি চুক্তি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং গাজা শান্তি চুক্তির জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী মোদী এই একই বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও কথা বলেন এবং তাঁর শান্তি উদ্যোগের প্রশংসা করেন। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অনুসারে, নেতানিয়াহু সেই সময় নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠকে ছিলেন, যেখানে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং পণবন্দীদের মুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছিল। তিনি বৈঠক মাঝপথে থামিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।

সব পণবন্দীর মুক্তিতে নেতানিয়াহুকে মোদীর অভিনন্দন

এই সময় মোদী সব পণবন্দীর মুক্তির জন্য নেতানিয়াহুকে অভিনন্দন জানান এবং বলেন যে তিনি সবসময় তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। নেতানিয়াহুও ভারতের সমর্থনের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ধন্যবাদ জানান। দুই নেতা মিলে সিদ্ধান্ত নেন যে তাঁরা ভবিষ্যতেও পারস্পরিক সহযোগিতা এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রচেষ্টা জোরদার করতে একসঙ্গে কাজ করবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ পোস্ট করে জানিয়েছেন যে তিনি তাঁর বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং গাজা শান্তি পরিকল্পনার সাফল্যের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পাশাপাশি, দুই নেতা ভারত-আমেরিকার মধ্যে চলমান বাণিজ্যিক আলোচনার ভালো অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা করেন। মোদী বলেন যে আগামী সপ্তাহগুলিতে তাঁরা ক্রমাগত যোগাযোগ রাখবেন।

আমেরিকার সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনাকে ইতিবাচক বলা হয়েছে

এই প্রথমবার ভারতের শীর্ষ নেতৃত্ব আমেরিকার সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনাকে ইতিবাচক বলে বর্ণনা করেছে। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী মোদী বৃহস্পতিবার সকালেও পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি আনার জন্য হওয়া চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্বের অধীনে, ইজরায়েল এবং হামাস গাজায় যুদ্ধ থামাতে সম্মত হয়েছে। এই চুক্তিটি গত দুই বছর ধরে চলা ভয়াবহ যুদ্ধ শেষ করার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। গত কয়েক মাস ধরে এই চুক্তির জন্য ক্রমাগত চেষ্টা চালানো হচ্ছিল এবং এখন এর বাস্তবায়নকে একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।