সংক্ষিপ্ত
আইএমএফ কর্তৃক পাকিস্তানকে অর্থ সাহায্য প্রদানের বিরোধিতা করেছে ভারত। সন্ত্রাসবাদে সমর্থনকারী দেশকে আর্থিক সাহায্য প্রদান আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সুনাম ক্ষুন্ন করে বলে মন্তব্য করেছে ভারত।
আইএমএফ পাকিস্তান ঋণে ভারতের প্রতিবাদ: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) কর্তৃক পাকিস্তানকে প্রদত্ত আর্থিক সাহায্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে ভারত। স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, সীমান্ত-পার সন্ত্রাসবাদে (Cross-Border Terrorism) সমর্থনকারী দেশকে আর্থিক সাহায্য প্রদান আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সুনাম ক্ষুন্ন করে। যদিও পাকিস্তানকে ঋণ প্রদানের আইএমএফ ভোটিংয়ে ভারত অনুপস্থিত ছিল।
আইএমএফ বৈঠকে ভারতের আপত্তি
পাকিস্তানের জন্য ১ বিলিয়ন ডলারের বর্ধিত তহবিল সুবিধা (Extended Fund Facility - EFF) এবং ১.৩ বিলিয়ন ডলারের স্থিতিস্থাপকতা ও স্থায়িত্ব সুবিধা (Resilience and Sustainability Facility - RSF) পর্যালোচনার সময় ভারত তীব্র আপত্তি জানায়। আইএমএফের নিয়ম অনুযায়ী ভারত সরাসরি "না" ভোট দিতে পারেনি, তাই ভোটদানে বিরত থাকলেও কড়া আপত্তি জানায়।
ভারতের প্রধান আপত্তি
- ২৮ বার সাহায্য, কোনো উন্নতি নেই: গত ৩৫ বছরে ২৮ বার আইএমএফের সাহায্য পেয়েছে পাকিস্তান, কিন্তু কোনো স্থায়ী উন্নতি হয়নি বলে ভারত উল্লেখ করে।
- অর্থনীতিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ: পাকিস্তানের সেনাবাহিনী অর্থনীতিতে প্রভাব বিস্তার করে, যা স্বচ্ছতা ও গণতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণকে নষ্ট করে বলে আইএমএফকে জানানো হয়।
- সন্ত্রাসবাদে অর্থের অপব্যবহারের আশঙ্কা: আইএমএফের অর্থ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসবাদে (State-sponsored terrorism) ব্যবহৃত হতে পারে বলে ভারত সতর্ক করে।
২০২১ সালের জাতিসংঘের প্রতিবেদনের উল্লেখ
জাতিসংঘের ২০১১ সালের প্রতিবেদনে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সাথে যুক্ত ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যকে দেশের বৃহত্তম কর্পোরেট গোষ্ঠী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল, যা ভারত তুলে ধরে। বর্তমানে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বিশেষ বিনিয়োগ সহায়তা কাউন্সিলের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
বিশ্ব সংস্থাগুলোর নৈতিক দায়িত্ব
আইএমএফের প্রক্রিয়ার সীমাবদ্ধতা উল্লেখ করে ভারত বলে, বিশ্ব আর্থিক সংস্থাগুলোর কেবল প্রযুক্তিগত ও আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়, নৈতিক মূল্যবোধকেও (moral values) গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
আইএমএফের ভোটিং প্রক্রিয়ার ত্রুটি
আইএমএফে ২৫ জন কার্যনির্বাহী পরিচালক থাকলেও জাতিসংঘের মতো "এক দেশ, এক ভোট" নীতি নেই। আমেরিকার মতো বৃহৎ দেশগুলোর ভোটিং ক্ষমতা বেশি। ভোটদানে কেবল সমর্থন বা বিরত থাকার বিকল্প আছে, বিরোধিতার কোনো সুযোগ নেই। এ সুযোগেই ভারত এবার আপত্তি জানিয়েছে।